আমতার সারদা দক্ষিন খাঁপাড়ায় নিহত ছাত্রনেতা আনিস খানের বাড়িতে যেতে গিয়ে প্রবল বাধায় রাস্তা থেকেই ফিরে গেলেন রাজ্যের দুই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। এদিন আনিসের বাড়ির থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দুরেই ফিরহাদ হাকিম ও পুলক রায়ের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখায় এলাকার মানুষ। ববি হাকিম গো ব্যাক স্লোগান দেয় জনতা। কার্যত প্রবল বিক্ষোভে পড়ে গাড়ি ঘুরিয়ে ফিরতি পথ ধরেন দুই মন্ত্রী।
Advertisment
শুক্রবার আনিশের ৪০ দিনের পারলৌকিক কাজ ছিল। সেই কাজে যোগ দিতে এসেছিলেন, আব্বাস সিদ্দিকি, মেহরাজ সিদ্দিকি-সহ অন্যান্য ধর্মগুরুরা। দুপুর ৩টে থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই সমাবেশে প্রায় হাজার দেড়েক মানুষ যোগ দিয়েছিলেন। এদিন আনিস খানের বাড়িতে যাওয়ার জন্যে বিকেল চারটে নাগাদ এসে পৌঁছান মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও মন্ত্রী পুলক রায়। তাঁরা প্রায় ২ ঘন্টা আনিসের বাড়ির থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে একটি জায়গায় অপেক্ষা করতে থাকেন। প্রায় পৌনে ৬টা নাগাদ মন্ত্রীদের কনভয় আনিস খানের বাড়ি থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে সীমানাগোড়া মোড়ের কাছে আটকে দেয় জনতা।
কয়েকশ মানুষ গাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। ববি হাকিম গো-ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয়। ফিরহাদ হাকিম ও পুলক রায় গাড়ি থেকে নেমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলে বিক্ষোভ চরমে ওঠে। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, আনিস খানের মৃত্যুর ৪০ দিন পরেও কেন দোষীদের ধরা হয়নি। পাশাপাশি একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের দিনে কেন এলেন মন্ত্রীরা। এই প্রসঙ্গে এদিন, আনিস খানের বাবা সালেম খান বলেন, এদিন ছেলের ৪০ দিনের কাজে আব্বাস সিদ্দিকি এসে তাঁকে কথা দিয়েছেন আসামীদের ধরা হবে।
এদিন রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ দুই মন্ত্রী আনিসের বাবার সঙ্গে দেখা করতে আসার সময়ে বিক্ষোভের মূখে পড়ে ফিরে যাওয়া প্রসঙ্গে আনিসের বাবা সালেম খান জানান, বাইরে কী হয়েছে তিনি জানেন না। তবে ববি হাকিম তাঁর কাছে আসার আগে যেন তাঁর ছেলের হত্যাকারীদের ধরা হয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এদিনও সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় থাকেন আনিশ খানের বাবা সালেম খান।