গত কয়েকদিনের উত্তাপ হঠাৎ করেই উধাও। নবান্ন বনাম রাজ ভবন সংঘাতের মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বৈঠক করলেন। ভিডিও-সহ ছবি পোস্ট করে সেই বৈঠকের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন রাজ্যপাল। এদিন দুপুরেই দেবাঞ্জন দেবের দেহরক্ষীর সঙ্গে রাজ্যপালের ছবি প্রকাশ করেছে তৃণমূল। দলীয় তরফে চাওয়া হয়েছে তাঁর বরখাস্ত। গত কয়েকদিন ধরেই জৈন-হাওয়ালা-কাণ্ডে ঘুরিয়ে রাজ্যপালকে বিঁধে চলেছেন রাজ্যের শাসক দল। এই উত্তাপের মধ্যেই বিধানসভা অধিবেশনের আগের সন্ধ্যায় ব্রাত্য-ধনকড় সাক্ষাৎ তাৎপর্যপূর্ণ। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। দেখুন সেই ট্যুইট:
এদিন নয় সেকেন্ডের একটি ভিডিও ছবি-সহ ট্যুইট করে রাজ্যপাল লেখেন, ‘মমতা সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু রায়চৌধুরীর সঙ্গে ঘণ্টাখানেক আলোচনা হল। রাজ্যের সার্বিক উন্নয়ন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন নিয়ে কথা হয়েছে। শিক্ষার প্রতি এতটাই নজর দিতে হবে যাতে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার পীঠস্থান হয়ে ওঠে এবং দেশ-বিদেশ থেকে পড়ুয়ারা এখানে পড়তে আসে।‘ এদিকে, সুরটা বেঁধে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি নবান্নে রাজ্যপালকে আদ্যোপান্ত দুর্নীতিপরায়ণ বলে কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। আর তারপর থেকেই সুপ্রিমোর দেখানো পথেই হাঁটছে তৃণমূল কংগ্রেস। জৈন-হাওয়ালা কেলেঙ্কারিতে এক ডায়রির সুত্র ধরে জগদীপ ধনকড়ের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বাংলার শাসক দল। বৃহস্পতিবার সেই সুর আরও জোরাল করলেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়।
এবার দেবাঞ্জন দেবের সঙ্গে রাজ ভবনের যোগসুত্র বের করে আক্রমণ করলেন তিনি। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে একটি ছবি প্রকাশ করে এই তৃণমূল সাংসদ প্রশ্ন করেন, ‘দেবাঞ্জনের দেহরক্ষী রাজভবনে কী করছিল?’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘প্রতারক দেবাঞ্জনের দেহরক্ষীর মাধ্যমেই রাজ ভবনের কয়েকজনের কাছে উপহার যেত। রাজ্যপালের সঙ্গে প্রতারকের দেহরক্ষীর যোগ থাকলে তা দেশের পক্ষে ভয়ঙ্কর। ঘনিষ্ঠতার গুরুত্ব আপনারা বুঝতেই পারছেন।‘
তদন্তকারীদের নজরে বিষয়টি আনছি, আসল তথ্য সামনে আসুক। এদিন এভাবেও সুর চড়ান তৃণমূল সাংসদ। বুধবার ছবি তোলা নিয়ে নবান্নে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, ‘প্রতারকরা ছবি তুলে রাখার চেষ্টা করেন। আমাকে ছবি তোলার কথা বললে আমি না করে দিই। প্লেনেও একবার এমন হয়েছিল। দূর থেকে জুম করে ছবি তুলছিল।‘ এই মন্তব্যের পরের দিন রাজ ভবনে দেবাঞ্জনের দেহরক্ষীর ছবি প্রকাশ্যে আনল তাঁর দল তৃণমূল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন