করোনা সংক্রমণ কোথায় কতটা ছড়িয়েছে সেই পরিকল্পনায় লকডাউন চলাকালীন গ্রিন, অরেঞ্জ জোন, রেড জোনে ভাগ করা হয়েছিল। কিন্তু পরিযায়ী শ্রমিকরা ভিন রাজ্য থেকে বাংলায় ফিরতেই সেই গ্রিন জোনেও বাড়ছে সংক্রমণ। কিছু সপ্তাহ আগেও যেখানে ছিলই না করোনার থাবা। এখন সেই জেলাই দেখছে কোভিড-১৯ ভাইরাসের দাপট।
রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়েছে পরিযায়ী শ্রমিক যারা এর মধ্যে ফিরেছেন তাঁদের মধ্যে আড়াইশোরও বেশি শ্রমিকদের দেহে ধরা পড়েছে এই ভাইরাস। মূলত মালদা, মুর্শিদাবাদ, উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুর, পূর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমানের মতো গ্রিন জোনে হুড়মুড়িয়ে বেড়েছে সংক্রমণ। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের পরামর্শ ছাড়াই বিপুল সংখ্যক শ্রমিক পাঠানোর জন্য রেলের বিরুদ্ধে আপত্তির সুরও তোলেন মমতা।
দেখা যাচ্ছে হাওড়া, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণা, হুগলীতে প্রতিদিন যে হারে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা এর নেপথ্যে রয়েছে পরিযায়ীদের ঘরে ফেরা। স্বাস্থ্য দফতরের এক উচ্চপদস্ত আধিকারিক জানিয়েছেন এখনও পর্যন্ত ৩০টি ট্রেনে করে ৫০ হাজার শ্রমিক ফিরেছেন বাংলায়। আরও ট্রেন আসচে। তিনি বলেন, "যত পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরবেন বাংলায় ততই আরও বাড়বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।"
এদিকে এই অবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তিনি জানান যে এই মুহুর্তে রাজ্যের স্বাস্থ্যকাঠামোর যে পরিস্থিতি সেখানে পরিযায়ীদের ফেরায় যদি এভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে তাহলে তাঁর পক্ষে পরিস্থিতি সামলানো সম্ভব হবে না। সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন, "আমরা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করতে ফেলেছিলাম। কিন্তু লক্ষ লক্ষ মানুষ ফিরছেন। তাঁরা আমার রাজ্যের লোক, নিশ্চয়ই ফিরবেন। কিন্তু তাঁদের মধ্যে থেকে ২৫ শতাংশেরই করোনা পজিটিভ ধরা পড়ছে। কি করব আমরা?"
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন