Covid Daily Cases: রাজ্যে ফের বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ। জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্ত ৬৩৯ জন। যদিও এই সময়ের মধ্যে নমুনা পরীক্ষা এবং টিকাকরণ তুলনামুলক বেড়েছে। উদ্বেগজনক ভাবে গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় সংক্রমিতের সংখ্যাও ঊর্ধ্বমুখী। তবে কিছুটা কমেছে সংক্রমণ হার।
গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিতদের মধ্যে কলকাতার ৬৮ জন, উত্তর ২৪ পরগনায় ৬৭ জন আর দক্ষিণ ২৪ পরগনায় নতুন আক্রান্ত ৬৫ জন। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং জেলায় ৬৪ জন, নদিয়ায় ৪৬, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে যথাক্রমে ৩৯ ও ৩৬ জন নতুন করে আক্রান্ত। এদিকে, ১৮ অগাস্ট থেকে শর্তসাপেক্ষে খুলছে বেলুড় মঠ। করোনার দুটি টিকার নথি কিংবা ৭২ ঘণ্টা আগে করা আরটি-পিসিআর নেগেটিভ টেস্ট রিপোর্ট দেখিয়েই প্রবেশ বাধ্যতামূলক। অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে প্যান কার্ড। জানা গিয়েছে, দিনে দুই বার মঠ খোলা থাকবে। সকাল ৮টা-১১টা আর বিকেল ৪টে থেকে সন্ধ্যায় পৌনে ছ’টা অবধি খোলা থাকবে গেট।
অপরদিকে, চাহিদার তুলনায় জোগানে ঘাটতি। বুধবার থেকে বন্ধ শহরের সবক’টি কোভিশিল্ড কেন্দ্র। লিখিত বিবৃতি দিয়ে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে কলকাতা পুরসভা। অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত এই কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকবে। এমনটাই জানা গিয়েছে। তবে কোভ্যাক্সিনের জোগানের সঙ্গে ঘাটতির তারতম্য নেই। তাই কোভ্যাক্সিন টিকা গ্রাহকদের আগের মতোই টিকা মিলবে।
মঙ্গলবার থেকেই কোভিশিল্ড সেন্টার বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছিল পুরসভা। কিন্তু সোমবার রাতে প্রায় ৩০ হাজার টিকা এসে পৌঁছলে, সিদ্ধান্ত বদলায়। মঙ্গলবার পর্যন্ত কোভিশিল্ড কেন্দ্রগুলি খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
টিকার জোগানের অভাবে গত কয়েকদিন ধরেই শহরে নাকাল সাধারণ মানুষ। সোমবারই কালীঘাটের একটি টিকাকেন্দ্রে হুলস্থুল পড়ে যায়। দৌড়ে এক টিকাকেন্দ্র থেকে অপর এক টিকাকেন্দ্রে পৌঁছতে দেখা গিয়েছে টিকা প্রাপকদের। জানা গিয়েছিল, আড়াইশো জনকে টিকা দেওয়ার পর শেষ হয়ে যায় বরাদ্দ। টিকাকেন্দ্র থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, তাঁদের কাছে আর টিকা নেই। তার পরিবর্তে টিকা নিতে আসা মানুষকে জয়হিন্দ ভবন থেকে টিকা নিতে বলা হয়। সেই ঘোষণা মাত্রই ভর দুপুরে হরিশ মুখার্জি স্ট্রিট ধরে দৌড় লাগান শয়ে শয়ে মানুষ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন