Bengal Covid Daily Update: রাজ্যে অব্যাহত করোনার হাইজাম্প। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ আরও বেড়ে হাজারের কাছে। তবে সামান্য কমেছে দৈনিক মৃত্যু। একদিনে বাংলায় সংক্রমিত ৯৮৯, মৃত ১০। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৮২৮ জন। একধাক্কায় অনেকটা বেড়েছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। রাজ্যে এখন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৭৮৮২। ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত রাজ্যে মোট সংক্রমিত ১৫,৮৬,৪৫৫, মোট মৃত ১৯,০৫৫। সুস্থতার হার সামান্য কমে ৯৮.৩০%। বেড়েছে সংক্রমণের হার (২.৩২%)।
এদিকে, সংক্রমণের নিরিখে স্বাস্থ্য ভবনকে উদ্বেগে রাখছে দক্ষিণবঙ্গ। বিশেষ করে কলকাতা এবং সংলগ্ন জেলাগুলো। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় সংক্রমিত ২৭৩ জন, উত্তর ২৪ পরগনায় ১৪৬ জন। সংক্রমণ বেড়েছে হুগলি, হাওড়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। হুগলিতে সংক্রমণ রোধে ওয়ার্ডভিত্তিক মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জোনের দিকে ঝুঁকছে জেলা প্রশাসন। মাস্কহীন নাগরিক দেখলেই জরিমানা করছে চন্দননগর কমিশনারেট।
যদিও রাজ্যে সংক্রমণ এখনও নিয়ন্ত্রণে। এদিন শিলিগুড়িতে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘আগামি দুই মাস একটু সাবধানে থাকুন। মাস্ক পরে ঘোরাফেরা করুন।‘
পাশাপাশি উৎসব আবহে দীর্ঘ দিন ঘরবন্দি থাকা মানুষজন হাঁসফাঁস অবস্থা থেকে মুক্তির খোঁজে, উৎসবের সম্পূর্ণ আনন্দ উপভোগ করতে কোনও খামতি রাখেনি। এবারের দুর্গাপুজোর আবহে দ্বিতীয়া থেকেই কলকাতার অলিগলি থেকে রাজপথ কার্যত দখলে ছিল সাধারণ মানুষের। পুজো শপিং থেকে শুরু করে মন্ডপে মন্ডপে মাস্কহীন মানুষের সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো। টিকার উপর ভর করে আমজনতার এমন বেপরোয়া মনোভাব দেখে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে তাবড় চিকিৎসকরা। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেননি অনেকেই। উৎসব শেষে ফের করোনার বাড়বাড়ন্ত অব্যাহত।
বাংলায় ঊর্ধ্বমুখী করোনা গ্রাফ। তবে কি করোনার তৃতীয় ঢেউ আসন্ন? করোনার তৃতীয় ঢেউ-এ সব থেকে চিন্তা শিশুদের নিয়ে এমন সতর্কবাণী আগেই মিলেছিল। করোনা কালে কতটা নিরাপদ আপনার সন্তান?
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার জন্য কলম ধরলেন প্রখ্যাত শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ইন্দ্রনীল চৌধুরি।
২০২০-র জানুয়ারির একেবারে শেষ থেকে আজ, প্রায় দেড় বছর হয়ে গিয়েছে। করোনা কেড়ে নিয়েছে প্রায় সাড়ে চার কোটি প্রাণ। গত বছরের শুরুতে বিদেশে যখন করোনা সংক্রমণের খবর টিভি বা সংবাদপত্রে প্রকাশ হতে শুরু করল, আমরা ভেবেছিলাম ইউরোপ, আমেরিকার ভুগবে। আমরা বেঁচে যাব। কিন্তু তা হল না, করোনা থাবা বসাল আমাদের দেশেও। ফলস্বরূপ লকডাউন। এছাড়া কোন উপায়ও অবশ্য ছিল না। এর পর জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে ভারত, ইরান, ইতালি-এই তিনটি দেশে একসঙ্গে সংক্রমণ প্রবেশ করে। বাকিটা ইতিহাস। তবে মার্চ-এপ্রিল এমনকী মে-জুন পর্যন্তও আমরা ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি করোনার প্রভাব কতটা? ওই বছর মার্চে লকডাউন করা হয়েছিল বটে তবে, লকডাউনের সময়টাতেই অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছিল।
আমাদের দেশে লকডাউনটা যদি আর কয়েকটা মাস আগে হত তাহলে অনেকগুলো প্রাণ আমরা বাঁচাতে পারতাম। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে আজও আমরা কত বেপরোয়া! বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে তো দু’মাস ধরে ভোট হল। এমনিতে সংক্রমণ নিজস্ব গতিতেই বাড়ছিল এর মাঝে আমরা খানিকটা আগুনে ওই জল না ঢেলে তেল ঢালার প্রক্রিয়া শুরু করে দিলাম।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন