Bengal Covid Daily Update: ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী করোনা গ্রাফ। যত দিন এগোচ্ছে, লাফ দিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। পাল্লা দিয়ে কমছে সুস্থতার হার! চিকিৎসক এবং প্রশাসনের উদ্বেগ বাড়িয়ে গত একদিনে সংক্রমিত প্রায় হাজায় ছুঁইছুঁই। ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত ৯৯০, সুস্থতার হার কমে ৯৮.২৯%। দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে উদ্বেগের কারণ কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী দুই ২৪ পরগনা।
শহরে গত একদিনে আক্রান্ত ২৭৫ জন, উত্তর ২৪ পরগনায় ১৬৪ আর দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৭৭ জোন আক্রান্ত। পিছিয়ে নেই গঙ্গার পশ্চিমপারের জেলা হাওড়া। সেই জেলায় দৈনিক আক্রান্ত ১০০ ছুঁইছুঁই। সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি হুগলি এবং নদিয়ায় অব্যাহত। উত্তরবঙ্গের নিরিখে শীর্ষে দার্জিলিং। তারপরেই জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহার। জানা গিয়েছে, রাজ্যে এখন সংক্রমণের হার ২.১৮%, একদিনে মৃত ৯ জন। পাশাপাশি এই সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৮৪৫ জন। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত রাজ্যে সক্রিয় সংক্রমণ ৮ হাজারের গণ্ডি পেরিয়েছে।
আগামী তিন দিন কড়া বিধি বলবৎ সোনারপুর-রাজপুর পুর এলাকায়। বৃহস্পতিবার-শনিবার কার্যত লকডাউন ফিরল এই পুর এলাকায়। কর্মক্ষেত্র এবং অতি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোলেই ব্যবস্থা। এমন হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে পুরসভার পক্ষে। কন্টেইনমেন্ট জোনগুলো ঘিরে বসছে পুলিশ পিকেট। তাঁরাই স্থানীয়দের গতিবিধির উপর নজর রাখবে। বাইরে বেরনোর কারণ দর্শাতে না পারলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনটাই সোনারপুর এবং নরেন্দ্রপুর থানা সূত্রে খবর। দোকান-বাজার, স্থানীয় চায়ের দোকান এবং পাড়ার ঠেক--- সব জমায়েত বন্ধ রাখতেই একাধিক বিধি কার্যকর করেছে পুরসভা।
মাস্ক পরে বাইরে বেরনোর ঘোষণার সঙ্গে বিনা মাস্কে ব্যক্তিদের ধরপাকড় এবং জরিমানা করছে পুলিশ। এদিকে, বৃহস্পতিবার সকালের দিকে বাসে উঠে অভিযান চালায় বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। মাস্কহীন যাত্রী দেখলেই বাস থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। কন্ডাক্টর এবং চালকদের মধ্যে মাস্ক বিলি করতেও দেখা গিয়েছে কমিশনারেটকে।
অপরদিকে, প্রথম ডোজ নেওয়া। কিন্তু উল্লিখিত সময়ের মধ্যে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেয়নি দেশের ১০ কোটির বেশি মানুষ। সরকারি পরিসংখ্যানে সংখ্যাটা ১০ কোটি ৩৪ লক্ষ। বুধবার রাজ্যগুলোকে এই তথ্য দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। চলতি সপ্তাহেই টিকাকরণ পর্যালোচনায় রাজ্যগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য সেই বৈঠকে পৌরহিত্য করেন। তিনি রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবদের সামনে এই তথ্য তুলে ধরেন। পাশাপাশি রাজ্যগুলোকে যত দ্রুত সম্ভব দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করতে উদ্যোগ নিতে পরামর্শ দেন মন্ত্রী।
মন্ত্রকের পরিসংখ্যান , ১০ কোটি ৩৪ লক্ষ মানুষের মধ্যে ৮৫% কোভিশিল্ড নিয়েছেন। বাকিরা নিয়েছেন কোভ্যাকসিন। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, নভেম্বরের মধ্যে দেশের প্রতি যোগ্যতম ব্যক্তিকে অন্তত একটি ডোজ দিতে উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। সেই মর্মে রাজ্যগুলোকে তৃণমূলস্তর থেকে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
আবারও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা। গত কয়েকদিন ধরে সামান্য ওঠা-নামার পর বৃহস্পতিবার একধাক্কায় বেশ খানিকটা বেড়ে গেল করোনার দৈনিক সংক্রমণ। একইসঙ্গে কয়েকদিনের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টাতেই সর্বোচ্চ ৭৩৩ জন করোনা কামড়ে প্রাণ হারিয়েছেন। উৎসবের মরশুমে বেপরোয়া ঘোরা-ফেরার মাশুল? উত্তরটা এখনই স্পষ্ট না হলেও ইঙ্গিত মিলছে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ১৫৬ জন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন