Bengal Covid Daily Update: রাজ্যে ফের ৭০০-র উপরে দৈনিক সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত ৭৪৩ জন। রাজ্যে মোট সংক্রমিত ১৫, ৫৮,৮৬০ জন। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন মোতাবেক, রাজ্যে একদিনে মৃত্যুও রেকর্ড সংখ্যক। ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়ে মৃত ১৪ জন। করোনার প্রভাবে মোট মৃত ১৮,৬১৩ জন।
জানা গিয়েছে, ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে সংক্রমিতের হার ১.৮৬%। সুস্থতার হার ৯৮.২৯%। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৫,৩২, ১৯৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৭৫৩ জন। রাজ্যে এই মুহূর্তে সক্রিয় সংক্রমণ ৮০৫০।
এদিকে, দিন কয়েক কেটেছে। কিন্তু রেহাই মিলছে না। জলপাইগুড়িতে একের পর এক শিশু জ্বরে আক্রন্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালে। এর মধ্যেই জ্বরে মঙ্গলবারই এক ছয় বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবারও ঘটল প্রাণহানির ঘটনা। জ্বরে ভুগে মৃত্যু হয়েছে দুই শিশুর। ফলে আতঙ্ক ও উদ্বেগ বেড়েছে। এইসব শিশুরা কোভিড আক্রান্ত নয় বলেই দাবি উত্তরবঙ্গ জনস্বাস্থ্য বিভাগের ওএসডি ডাঃ সুশান্ত রায়ের। তবে, জ্বরে আক্রান্তদের লালার নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
উত্তরবঙ্গে গরম কমতেই শিশুদের মধ্যে জ্বরের প্রকোপ বেড়েছে উত্তরের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার জেলায়। এই জেলাগুলির প্রায় প্রতিটি হাসপাতালের শিশুবিভাগই ভর্তি জ্বরে আক্রান্তদের চিকিৎসায়। সবচেয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার জেলায়। জানা গিয়েছে গত এক সপ্তাহ ধরে শুরু হয়েছে জ্বরের প্রকোপ। শিশুরা মূলত হাসপাতালে আসছে সাধারণ জ্বর, সর্দিকাশি, খিঁচুনি জ্বর, শ্বাসকষ্ট, পেটে ব্যাথা, পাতলা পায়খানা উপসর্গ নিয়ে। ওষুধ খেয়েও জ্বর নামছে না। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন করোনা ভেবে।
গত ২৪ ঘন্টায় জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে দুই শিশুর। মোট মৃতের সংখ্যা তিন। করোনার পাশাপাশি জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আসা প্রতিটি শিশুরই ডেঙ্গি, জাপানি এনসেফ্যালাইটিস, চিকুনগুনিয়া, স্ক্রাব টাইফাসেরও পরীক্ষা চলছে। জ্বরে আক্রান্ত প্রত্যেকটা শিশুই ভাইরাল নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন