প্রায় ৩ মাস পর রাজ্যবাসীকে সুখবর দিল স্বাস্থ্য দফতর। এপ্রিলের পর এই প্রথম রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ দেড় হাজারের নীচে। গত ২৪ ঘণ্টায় কমেছে দৈনিক মৃত্যুও। রাজ্যে এখন সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ২১ হাজারের নীচে। তবে স্বাস্থ্য দফতরকে উদ্বেগে রাখছে কলকাতার সংক্রমণ। সার্বিক সংক্রমণ গ্রাফ নিম্নমুখী হলেও, খানিক বেড়েছে কলকাতার দৈনিক সংক্রমণ। কিন্তু প্রায় ৪ মাস পর সংক্রমণের হার ৩%-এর নীচে। যে পরিসংখ্যান স্বস্তি দিচ্ছে নবান্নকে।
বুধবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিনে বলা, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে সংক্রমিত ১ হাজার ৪৭৮ জন। জানা জানা গিয়েছে, ২ এপ্রিল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৭৩৩। তারপর থেকে দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাবে ক্রমশ সংক্রমণ বেড়েছে বাংলায়।
এদিন স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনা এবং কলকাতায় যথাক্রমে ১৫৪ ও ১৩৫ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া কলকাতা লাগোয়া হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দার্জিলিংয়ে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা শতাধিক।
সব মিলিয়ে রাজ্যে এই মুহূর্তে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ লক্ষ ৯৯ হাজার ৭৮৩। এই মুহূর্তে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২০ হাজার ৫৮৫। বুলেটিনে বলা, ২৪ ঘণ্টায় ২৯ জন আক্রান্ত মারা গিয়েছেন। এই মৃত্যুর সংখ্যায় এগিয়ে উত্তর ২৪ পরগনা। তারপরেই কলকাতা।
সংক্রমণগ্রাফ ক্রমশ কমতে থাকায় এই মুহূর্তে তা দাঁড়িয়েছে ২.৯৬ শতাংশে। এ ছাড়া, সংক্রমণের মোট হার কমে হয়েছে ১০.৫৫ শতাংশ। এদিকে, টিকাকরণ জোর কদমে শুরু হলেও এখনও রাজ্যে টিকা ঘাটতি রয়েছে। পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনের অভাবে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ পায়নি বাংলার প্রায় সাড়ে ৮ লক্ষের বেশি মানুষ। এই পরিস্থিতিতে এবার নয়া ফর্মুলা আনল মমতা প্রশাসন। স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানান রাজ্যে যে পরিমাণ টিকা আসবে তার ৫০ শতাংশ বরাদ্দ থাকবে শুধুমাত্র দ্বিতীয় টিকা হিসাবে। অর্থাৎ যাঁদের দ্বিতীয় টিকা বাকি তাঁদের দেওয়া হবে সেই টিকা। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট, রাজ্যে কোভিশিল্ডের মোট দ্বিতীয় টিকা বাকি রয়েছে ৬ লক্ষ ৭৯ হাজার ৬৮৫ জনের।কোভ্যাক্সিনের মোট দ্বিতীয় টিকা বাকি রয়েছে ১ লক্ষ ৬৪ হাজার ১৬২ জনের।
প্রতিটি জেলার জেলাশাসক, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, কলকাতার পুর কমিশনার ও সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ও সুপারদের এই নয়া নির্দেশ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। যতক্ষণ না পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন মিলছে, ততক্ষণ পর্যন্ত ৫০% ভ্যাকসিন বরাদ্দ থাকবে দ্বিতীয় ডোজের জন্য, এমনটাই স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন