Bengal Covid Daily Update: রাজ্যে অনেকটা কমল করোনার দৈনিক সংক্রমণ এবং মৃত্যু। একদিনে সংক্রমিত ৫৮০ জন, মৃত ৭। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৬৬ জন, সুস্থতার হার ৯৮.৩৩। তবে শুধু সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ নয়, কমছে আক্রান্তের হার। রাজ্যে এই মুহূর্তে আক্রান্তের হার ১.৪৪%, সামান্য বেড়ে অ্যাক্টিভ কেস ৭৫১৩। এদিকে, জেলাভিত্তিক সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে কলকাতা (১৭২)। তারপর উত্তর ২৪ পরগনা (৯৮) এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা (৪৯)। স্বস্তির চিত্র হাওড়া এবং হুগলির দৈনিক করোনা গ্রাফে।
তবে ভোটমুখী কলকাতায় দৈনিক গড়ে ১৫০-র উপরে সংক্রমণ কিছুটা চিন্তার কারণ স্বাস্থ্যকর্মীদের। ১৯ ডিসেম্বরের ভোটের পর এই আক্রান্ত লাগামছাড়া হতে পারে। এমনটাই আশঙ্কা চিকিৎসকদের। যদিও প্রতিটি রাজনৈতিক দলই মুখে মাস্ক পরে এবং প্রয়োজনীয় করোনা বিধি মেনেই ভোটদানে উৎসাহিত করছে নগরবাসীকে।
এদিকে, দেশে বাড়ছে করোনার নয়া প্রজাতি ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই ভারতে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ পার করেছে। বর্তমানে এ দেশে আক্রান্ত ১০১ জন। মোট ১১টি রাজ্যে ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে বলে শুক্রবার জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লভ আগারওয়াল। তাঁর কথায়, ‘ওমিক্রন বিশ্বের ৯১টি দেশে ছড়িয়েছে। করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট থেকেও ওমিক্রন দ্রুত গতিতে ছড়ায় বলে সতর্ক করেছে হু। দক্ষিণ আফ্রিকায় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণের হার নিম্নমুখী ছিল, তা সত্ত্বেও ওমিক্রন সংক্রমিত হয়েছে হু হু করে। ওমিক্রনকে ঠেকাতে সংক্রমণ চেইন ভাঙা প্রয়োজন বলে জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।’
দেশজুড়ে ত্রাসের চেহারা নিচ্ছে ওমিক্রন। সংক্রমণ এই পর্যায়ে ঠেকানো জরুরি বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। আইসিএমআর-এর ডিজি বলরাম ভার্গোব বলেছেন, ‘জরুরি ভ্রমণ ছাড়া অন্যত্র যাওয়া, বড় জমায়েত, অপ্রয়োজনে উৎসব পালন না করাই ভালো।’ প্রায় পৌনে ২ বছর আগে মহামারির শুরুর অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এখনই রাশ টানাতে উদ্যোগী কেন্দ্র। সংক্রমণ দ্রুত আটকাতে কেন্দ্র তড়িঘড়ি একাধিক নির্দেশিকা জারি করতে চলেছে বলে খবর।
এদিকে এক ধাক্কায় রাজধানী দিল্লিতে অনেকটাই বেড়েছে ওমিক্রন সংক্রমণ। এ দিন সকালেই দিল্লি স্বাস্থ্য়মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, রাজ্যে নতুন করে ১০ জন ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। এই নিয়ে দিল্লিতে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২০।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন