Bengal Covid Daily Update: একধাক্কায় অনেকটা কমল রাজ্যের দৈনিক কোভিড সংক্রমণ। পাল্লা দিয়ে কমেছে দৈনিক মৃত্যুও। ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্ত ৭৬৩, মৃত ১৩। তবে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে আক্রান্তের হার এবং সামান্য হলেও বেড়েছে সুস্থতার হার। রাজ্যের এখন সংক্রমণের হার ২.৫৫%, সুস্থতার হার ৯৮.২৯%। একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৮৬৩ জন, ৫ নভেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে সক্রিয় সংক্রমণ ৮১৬৩।
জেলাস্তরে দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া। কিছুটা স্বস্তি দিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ অনেকটা কমেছে হুগলিতে। উত্তরবঙ্গের নিরিখে শীর্ষে দার্জিলিং। তারপরেই দক্ষিণ দিনাজপুর এবং জলপাইগুড়ি।
এদিকে, দীপাবলির দিনে দেশের সংক্রমণ পরিস্থিতি মোটের উপর একই জায়গায়। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে দেশে করোনা আক্রান্ত ১২ হাজার ৮৮৫। একদিনে করোনায় মৃত্যু ৪৬১ জনের। স্বস্তি করোনামুক্তিতেও। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ৫৪ জন।
সুস্থ হচ্ছে দেশ? উত্তরটা বলার এখনই সময় না এলেও সংক্রমণ পরিস্থিতি মোটের উপর নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। আজও ১২ হাজারের ঘরেই রয়েছে দেশের দৈনিক সংক্রমণ। সংক্রমণ কিছুটা কমলেও আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও একই কথাই বলেছেন। করোনা এড়াতে দেশের যোগ্য প্রত্যেককেই যাতে টিকাকরণের আওতায় আনা যায় সেব্যাপারে প্রশাসনের কর্তাদের উদ্যোগী হতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
সম্প্রতি দেশের ৪০ জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। ওই জেলাগুলিতে করোনা টিকার প্রথম ডোজই পাননি ৫০ শতাংশ মানুষ। টিকার দ্বিতীয় ডোজও উল্লেখযোগ্যভাবে ওই জেলাগুলিতে বেশ কম। জেলাগুলির প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে মোদী বলেন, “প্রতিটি বাড়িতে টিকাকরণ অভিযান নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। ‘হর ঘর দস্তক’ মন্ত্রের সঙ্গে যে বাড়িগুলিতে টিকার বেড়াজাল এখনও তৈরি হয়নি সেখানে পৌঁছে যেতে হবে। আশা কর্মী-সহ অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা সত্যিই কঠোর পরিশ্রম করেছেন। তাঁরা মানুষকে টিকা দেওয়ার জন্য অনেক পথ হেঁটেছেন। আমরা ১০০ কোটি করোনা টিকার ডোজ দিয়েছি। তবে এতে আত্মতুষ্টির জায়গা নেই। এখন নতুন একটি সমস্যা তৈরি হয়েছে। আমাদের শেষ অবধি লড়াই করতে হবে।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন