রাজ্যে একধাক্কায় অনেক কমেছে করোনার দৈনিক সংক্রমণ। প্রায় ১০ হাজারের নিচে নেমে রাজ্যে এই মুহূর্তে ৯৩৮৫, মৃত ৩৩। পরিসংখ্যান মতে রাজ্যে শুধু দৈনিক আক্রান্ত কমেনি, কমেছে মৃত্যুও। পাশাপাশি নিম্নমুখী পজিটিভিটি রেট বা আক্রান্তের হার ২৬.৪৩%।
একসপ্তাহ আগেই রাজ্যে আক্রান্তের হার ছিল ৩৫%-এর বেশি। একদিনে সুস্থ হয়েছেন ১১,০৩৪, প্রায় ১ হাজার ৬০০ জন কমেছে রাজ্যের সক্রিয় সংক্রমণ। এদিকে দৈনিক মৃত্যুর নিরিখে কলকাতাকে পিছনে ফেলেছে উত্তর ২৪। এই জেলায় একদিনে মৃত ১১, আক্রান্ত ১৮৬৩। কলকাতায় দৈনিক আক্রান্ত ১৮৭৯, মৃত ৭। পিছিয়ে নেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং হুগলি।
রাজ্যের মধ্যে করোনা সংক্রমণের পরিসংখ্যানে ভয় ধরাচ্ছিল কলকাতা। বিগত কয়েকদিনে ধরে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৫-৬ হাজারের বেশি ছিল। তবে সংক্রমণ কিছুটা কমে ৩ হাজারের কোটায় এসেছিল রবিবার। আর সোমবার কলকাতায় দৈনিক সংক্রমণের হার ১,৭২৩ জন। পজিটিভি রেট ৩০ শতাংশের বেশি। জানিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সাংবাদিক বৈঠকে মেয়র জানিয়েছেন, বর্তমানে কলকাতায় কনটেনমেন্ট জোন রয়েছে ৩৩টি। আক্রান্তের সংখ্যা পুরনিগমের ৮,৯ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডে বেশি।
ফের কোভিডবিধি শিথিল করল রাজ্য সরকার। শর্তসাপেক্ষে জিম ও যাত্রায় ছাড় ঘোষণা করেছে নবান্নে। এবার থেকে মোট ধারণ ক্ষমতার ৫০ শতাংশ নিয়ে খোলা যাবে জিম। রাত ৯টা পর্যন্ত জিম খোলা রাখা যাবে। শীতকাল যাত্রার মরসুম। কিন্তু সংক্রমণ বৃদ্ধির জেরে যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সরকার। এবার সেই যাত্রায় বিধি শিথিল করা হল। তবে সর্বাধিক ২০০ জন দর্শক যাত্রা দেখতে পারবেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে পড়তে থাকুন