Bengal Covid Daily Update: রাজ্যে একধাক্কায় অনেক কমলো করোনার দৈনিক সংক্রমণ-মৃত্যু। সোমবারের করোনা গ্রাফে অনেকটাই সস্তি বাংলার চিকিৎসক মহল। একদিনে সংক্রমিত ৪১৪ এবং মৃত ৭। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪২২ জন, সুস্থতার হার ৯৮.৩৩। রাজ্যে সক্রিয় সংক্রমণ আরও কমে ৭৪৭৪, আক্রান্তের হার ১.৪৫%।
এদিকে, জেলাভিত্তিক সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে কলকাতা (১৪৫)। তারপরেই রয়েছে লাগোয়া জেলা উত্তর ২৪ পরগনা (৬২) এবং হাওড়া (৩৩)। এদিকে ভারতে ক্রমশ গাঢ় হচ্ছে ওমিক্রনের থাবা। সোমবার দিল্লি, কর্নাট ও কেরালায় নতুন করে ওমিক্রনে আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। দিল্লিতে ৬ জন, কর্নাটকে ৫ ও কেরালায় ৪ জন করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত। সাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যন অনুযায়ী গোটা দেশ বর্তমানে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭১।
এই তিন রাজ্য ছাড়াও ওমিক্রন ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, চণ্ডীগড়, তামিলনাড়ু। পশ্চিমবঙ্গেও চারজন করোনা আক্রান্তের নমুনার জিনোনেম সিকোয়েন্ট টেস্ট্র জন্য পাঠানো হয়েছে। করোনার নয়া প্রজাতির সংক্রমণের গতি ঠেকাতে কেন্দ্রে কাছে বুস্টার ডোজের দাবি জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁর দাবি, টিকাকরণের যোগ্য বয়সী দিল্লির ৯৯ শতাংশ বাসিন্দার করোনা টিকার প্রথন ডোজ ও ৭০ শতাংশের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া হয়ে গিয়েছে। যাঁরা দু’টি ডোজ নিয়েছেন তাঁদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হোক। এ জন্য দিল্লি সরকারের তরফে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
স্বস্তি নেই। ঘুম কেড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। এই আবহে রাজধানী দিল্লিতেও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা। সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়ছে, ঊর্ধ্বমুখী পজিটিভিটি রেট। উদ্বেগ বাড়িয়ে রবিবার রাজধানীতে নতুন করে করোনা আক্রান্ত ১০৭। গত ৬ মাসে এটাই দিল্লির সর্বাধিক সংক্রমণ। এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে দিল্লির সরকার। রাজধানীর সব কোভিড সেন্টারগুলি খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা কেজরিওয়াল সরকারের।
দিল্লির নাভিশ্বাস তুলেছিল করোনা। সংক্রমণের বিদ্যুৎ গতিতে মৃত্যু মিছিল দেখেছিল রাজধানী। অক্সিজেনের জন্য হাহাকার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল দিল্লিতে। রাস্তায়-হাসপাতালে কার্যত বিনা চিকিৎসায় পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে বহু করোনা রোগীর। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এক সময় দিশেহারা দশা হয় দিল্লির সরকারের। তবে গত কয়েকমাস ধরে দিল্লির করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।
রাজধানীতে শেষবার চলতি বছরের জুন মাসের ২৫ তারিখ সর্বোচ্চ ১১৫ করোনা রোগীর সন্ধান মিলেছিল। জুনের পর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন দিল্লিতে ৩০-৪০ জন করোনা আক্রান্ত হচ্ছিলেন। তবে গত সপ্তাহ থেকে পজিটিভিটি রেট বাড়তে শুরু করে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের আশঙ্কা, রাজধানী দিল্লিতে সংক্রমণ বৃদ্ধির নেপথ্যে থাকতে পারে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। কার্যত একটি ঢেউয়ের মতো দিল্লির সংক্রমণ একধাক্কায় অনেকটা বেড়ে গিয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন