Bengal Covid Daily Update: রাজ্যে সামান্য বাড়ল করোনার দৈনিক সংক্রমণ। তবে স্বস্তি দিয়ে কমেছে দৈনিক মৃত্যু। একদিনে সংক্রমিত ৫৫০, মৃত ৫। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৩২ জন, সুস্থতার হার বজায় রেখেছে স্থিতাবস্থা (৯৮.৩৩%)। গত কয়েকদিন ধরেই ৬০০-র নীচে রয়েছে কোভিড গ্রাফ। যে চিত্র ওমিক্রন সংক্রমণ আবহে স্বস্তি দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতরকে। এদিকে, রাজ্যে ২৪ ঘণ্টায় সামান্য বেড়েছে সক্রিয় সংক্রমণ। বাংলায় এই মুহূর্তে সক্রিয় আক্রান্ত ৭৪৪৬, আক্রান্তের হার ১.৪৯%।
আগামি একসপ্তাহ উৎসবের মুডে থাকবে কলকাতা। ইতিমধ্যে পথে নেমে বড়দিন উদযাপনে পা মিলিয়েছে তিলোত্তমা। কিন্তু ন্যূনতম করোনাবিধি ভঙ্গের চিত্র কলকাতার রাস্তায়। পার্কস্ট্রিট, ধর্মতলায় অধিকাংশ মাস্কহীন ঘুরছে। এই আবহে গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় সংক্রমিত ২১৭ জন। লাগোয়া উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সংক্রমিত ৮১ এবং ৩৫ জন। গঙ্গার ওপারের দুই জেলা হাওড়া এবং হুগলিতে সংক্রমিত ৩১ এবং ২৭ জন।
বিশ্বজুড়ে চতুর্থ ঢেউ চলছে। তাই এখনই আমরা গা ছাড়া দিতে পারি না। দেশবাসীকে সতর্ক করতে রাজ্যগুলোকে এই বার্তা পাঠাল স্বাস্থ্য মন্ত্রক। শুক্রবার সাপ্তাহিক পর্যালোচনা বৈঠকে স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ বলেছেন, ‘এখনই মুখ থেকে মাস্ক নামাবেন না। ভিড় এড়িয়ে চলবেন, স্যানিটাইজার ব্যবহার করবেন। কোভিড রক্ষাকবচগুলো এখনই শিকেয় তুলবেন না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু বলেছে ডেল্টা প্রজাতির থেকে দাপট বেশি ওমিক্রনের। এই প্রজাতির সংক্রমণ ক্ষমতাও বেশি। দেড়-তিন দিনের মধ্যে দ্বিগুণ হচ্ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। তাই আমাদের আরও সতর্ক হয়ে কোভিড বিধি মেনে চলতে হবে।‘
এদিকে, মধ্য প্রদেশের পর উত্তর প্রদেশ কার্যকর করছে নাইট কার্ফু। শনিবার থেকে সে রাজ্যে রাত ১১টা- ভোর ৫টা কার্যকর থাকবে কার্ফু। পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে প্রচুর মানুষ ভ্যাকসিন গ্রহণ করলেও তাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা পরবর্তীতে ফের ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন। তাহলেও লাভ কী হল ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও? যদিও বা ভারতের বুকে দ্বিতীয় ঢেউএর গ্রাসে অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এবং এই বিষয়েও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগেই ধারণা দিয়েছে যে ভারতে তৈরি ভ্যাকসিনের প্রভাবে ওমিক্রন ঠেকানো সম্ভব নয়। তাহলে কীরকম হলে ঠিক ছিল?
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন