/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/06/corona-3.jpg)
দেশজুড়ে টিকাকরণে জোরদার গতির জেরে মিলছে সাফল্য।
Bengal Covid Daily Update: রাজ্যে সামান্য বাড়ল করোনার দৈনিক সংক্রমণ এবং মৃত্যু। একদিনে সংক্রমিত ৫৫৪ জন, মৃত ১৩। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৫৬ জন, সুস্থতার হার ৯৮.৩৩%। রাজ্যে সক্রিয় সংক্রমণ আরও কমে সাড়ে ৭ হাজারের নীচে (৭৪৯০)। অ্যাক্টিভ কেসের সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে কমছে সংক্রমণের হার। রাজ্যে গত কয়েকদিন ধরে আক্রান্তের হার দুইয়ের নীচে। গত ২৪ ঘণ্টার হিসেবে রাজ্যে এই মুহূর্তে সংক্রমণের হার ১.৪৭%।
জেলাভিত্তিক সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে কলকাতা (১৯৬)। তারপর উত্তর ২৪ পরগনা (১০২) এবং হুগলি (৪২)। একটা সময় আক্রান্তের নিরিখে প্রথম পাঁচে থাকা হাওড়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার দৈনিক সংক্রমণ কমে ৩০-এর নীচে।
এদিকে, বাংলার প্রথম ওমিক্রন আক্রান্ত রয়েছেন মালদহে। আর এতেই গোটা জেলাজুড়ে আতঙ্ক। ইতিমধ্যেই আক্রান্ত শিশুসহ তার পরিবারের চার সদস্যকে মালদা মেডিক্যাল কলেজের করোনা বিভাগে ভর্তির ব্যবস্থা করেছে স্বাস্থ্য দফতর। এছাড়া, কালিয়াচক ১ নম্বর ব্লকের ঘোলাকান্দি এলাকায় চলছে তদারকি। সংক্রমণ আর কারোর মধ্যে ছড়িয়েছে কিনা তা দেখা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগেই মুর্শিদাবাদের ওই পরিবারটি আবুধাবি থেকে বিমানে হায়দ্রাবাদে নামেন। হায়দ্রাবাদে তাদের করোনার পরীক্ষা হয়েছিল। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে রিপোর্ট মেলে নি। এরপর ওই পরিবারটি কলকাতায় চলে আসে। সেখান থেকেই তাদের ট্রেনে বাড়ি মুর্শিদাবাদে চলে যান। এরপর ওই পরিবার গত চার দিন আগে মালদহের কালিয়াচক থানার ঘোলাকান্দি এলাকায় আত্মীয়ের বাড়িতে ঘুরতে যান।
এরই মধ্যে তেলেঙ্গানা স্বাস্থ্য দফতর ওই শিশুর শরীরে ওমিক্রমের উৎসের কথা এ রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকে জানায়। বিষয়টি জানাজানি হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায় ওই পরিবারটির প্রকৃত বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলায়। তাঁরা কালিয়াচকের এক আত্মীয়র বাড়িতে কয়েকদিন ধরে ঘুরতে এসে রয়েছেন । এরপরই বুধবার বিকালে তড়িঘড়ি ওই পরিবারটির খোঁজ নেই স্বাস্থ্য দফতর। ওই এলাকায় গিয়ে গোটা পরিবারের শারীরিক পরীক্ষা করার পর তাদের মেডিকেল কলেজে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পাপড়ি নায়েক জানিয়েছেন, দুবাই ফেরত সাত বছরের এক শিশুর দেহে ওমিক্রন ভাইরাসের রয়েছে বলে জানতে পেরেছি। ওই শিশু সহ তার মা, বাবা, দিদি সমেত মোট ৬ জনের লালার নমুনা সংগ্রহ করা হয় । আপাতত চারজনকে মালদা মেডিক্যাল কলেজের করোনা বিভাগে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওই শিশু ও তার পরিবারের লালার নমুনা সংগ্রহ করেছে মেডিকেল টিম।
ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসবাংলাএখন টেলিগ্রামে, পড়তেথাকুন