Bengal Covid Daily Update: গত ২৪ ঘণ্টায় সামান্য কমল করোনার দৈনিক সংক্রমণ-মৃত্যু। একদিনে সংক্রমিত ৭৪৬ এবং মৃত ১১। চতুর্থীর দিনে এই সংখ্যা ছিল ৭৭৬ এবং ১২। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত সংক্রমিত ১৫,৭৬,৩৩৭ এবং মৃত ১৮,৯০৫। সক্রিয় সংক্রমণ ৭৬৪৯, একদিনে সুস্থ হয়ে বাড়ি গিয়েছেন ৭৩৪ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৩২%।
দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে নবান্নের গলার কাঁটা সেই দক্ষিণবঙ্গ। এবং সবচেয়ে বেশি ভাবাচ্ছে কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়ার সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় সংক্রমিত ১৬৬ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় সংক্রমিত ১২৩ জন, হাওড়ায় সংক্রমিত ৫৯ জন আর দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৫৬ জন। পিছিয়ে নেই নদিয়া এবং হুগলি। এই দুই জেলায় ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত ৫৮ এবং ৪১ জন।
এদিকে, উৎসবের মরশুম! এদিকে ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস ফেলছে তৃতীয় ঢেউয়ের চোখ রাঙানি। বছর শুরুর দিকে পরিস্থিতি বাগে আসার ইঙ্গিত মিলছিল। টিকাকরণ ও কোভিড সংক্রন্ত বিধি মানায় অনেকটায় রাশ টানা গিয়েছিল করোনা ভাইরাসে। কিন্তু ‘লাগাম আলগা’ হতেই ফের বিশ্বজুড়ে দাপট দেখাচ্ছে করোনা। যা নিয়ে চিন্তায় খোদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
এ নিয়ে মুখ খুলেছেন সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রস আধানম গ্যাব্রিয়েসাস। টেড্রস বলেন, ”জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে টানা ৬ সপ্তাহ করোনার গ্রাফ কমতে দেখা গিয়েছে। এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি, টানা সাত সপ্তাহ ধরে বিশ্বে ফের উর্ধ্বমুখী করোনা পরিস্থিতি।
আবারও বেড়ে চলেছে মৃতের সংখ্যা। পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে, তাতে বিশ্বে ভাইরাস নির্মূল হতে এখনও সময় লাগবে’। টেড্রোস জানান, সাম্প্রতিককালে এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বিশ্বে ৭৮ কোটি মানুষের কাছে করোনার টিকা পৌঁছোনোর পরও এই চিত্র দেখা যাচ্ছে। যা খুবই চিন্তার কারণ। করোনা রুখতে কেবল টিকার উপর ভরসা করতে না করার পরামর্শ দিয়েছেন WHO-এর ডিরেক্টর জেনারেল।
তিনি বলেন, ”করোনার টিকা একটা অত্যন্ত শক্তিশালী হাতিয়ার। তবে এটা করোনা রুখতে একটি মাত্র হাতিয়ার নয়। সপ্তাহের পর সপ্তাহ এই কথা বলে আসছি আমরা। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। করোনা পরীক্ষা ছাড়াও করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিকে নজরে রাখুন। এইসব বিষয়গুলোই করোনা প্রতিরোধ করতে কাজে লাগে। কিন্তু বিভ্রান্তি, জটিলতা ও অনবরত জনস্বাস্থ্য বিধি না মানার কারণে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে ও প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটছে।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসবাংলাএখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন