Bengal Covid Daily Update: রাজ্যে একধাক্কায় অনেকটা কমল দৈনিক করোনা সংক্রমণ। সাড়ে ৭৫০-র নীচে নেমে একদিনে সংক্রমিত ৭২৬, মৃত ৮। সংক্রমণের হার বেড়ে ২.৪৯%, সুস্থতার হার ৯৮.২৯%। রাজ্যে একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৮৬৭ জন, পয়লা নভেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে সক্রিয় সংক্রমণ ৮১৪৬।
সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে কলকাতা। তারপরেই উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং হুগলি। কলকাতায় একদিনে সংক্রমিত ২০৫ জন, উত্তর ২৪ পরগনায় ৯৪, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৭৯ জন। এদিকে, রাজ্যজুড়ে চালু হয়ে গিয়েছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা। তবে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আপাতত ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে লোকাল ট্রেন চলাচলে সবুজ সংকেত দিয়েছিল রাজ্য। বাস্তবের ছবিটা ঠিক কী? আদৌ মানা হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি? সপ্তাহের প্রথম দিনে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ট্রেনগুলি দেখলে রীতিমতো শিউরে উঠবেন স্বাস্থ্য বিশারদরা। দূরত্ব-বিধি মানা তো কোন ছাড়, বাদুরঝোলা ভিড় লোকাল ট্রেনে। অনেকের মুখেই নেই মাস্ক।
রবিবার থেকেই রাজ্যজুড়ে চালু হয়েছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা। রবিবার ছুটির দিনে সেভাবে ভিড় না হলেও সপ্তাহ শুরুতেই মারাত্মক ছবি সামনে এসেছে। এদিন সকালে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার প্রায় সব লোকাল ট্রেনে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। সোনারপুর, বারুইপুর, মল্লিকপুর, জয়নগর, চম্পাহাটি, ক্যানিং সহ সব স্টেশনেই ট্রেন ঢুকতেই কাতারে-কাতারে ভিড় যাত্রীদের।
ট্রেনের কামরার ছবিটা আরও ভয়ঙ্কর। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে লোকাল ট্রেন চলাচলে ছাড় দিয়েছে রাজ্য। বাস্তবে ঘটছে ঠিক তার উল্টো। ট্রেনের কামরা উপচে দরজা ধরে ঝুলতে দেখা গেল যাত্রীদের। কামরার ভিতরের ছবিটা শিউরে ওঠার মতো। অনেকের মুখেই নেই মাস্ক। করোনা বিধি শিকেয় তুলে দেদার আলাপচারিতায় মত্ত একাংশের যাত্রী।
করোনাকালে রাজ্যে দ্বিতীয় দফায় লোকাল ট্রেন বন্ধের পর স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চালু রেখেছিল রেল। শহরতলীর একটি বড় অংশের মানুষের লাইফলাইন রেল। দীর্ঘদিন লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় স্বভাবতই অফিস-কাছারি-সহ কাজের জায়গায় পৌঁছতে রীতিমতো হিমশিম দশা হয়েছে যাত্রীদের। লোকাল ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় আপাতত সেই কষ্ট থেকে মুক্তি মিলেছে। তবে এরই সঙ্গে আরও বড় বিপদের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে লোকাল ট্রেনে এমন ভিড় অচিরেই বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন