Bengal Covid Daily Update: ফের ১০ হাজারের গণ্ডি ছাড়াল রাজ্যের দৈনিক সংক্রমণ। একদিনে সংক্রমিত ১০,৪৩০, মৃত ৩৪। সোমবারের নিরিখে মঙ্গলবার অনেকটাই বাড়ল দৈনিক আক্রান্ত এবং মৃত্যু। ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৫৩ হাজার ৯০০ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। সেই হিসেবে রাজ্যে নিম্নমুখী করোনার পজিটিভিটি রেট বা আক্রান্তের হার। এই মুহূর্তে বাংলায় আক্রান্তের হার ১৯.৩৮%। একদিনে সুস্থ হয়েছেন ১৩,৩০৮ জন, সুস্থতার হার ৯০.৮৩%। রাজ্যে এই মুহূর্তে সক্রিয় রোগী ১,৫৫,৭১১ জন।
এদিকে, দৈনিক সংক্রমণ এবং মৃত্যুর নিরিখে শীর্ষে সেই কলকাতা। তারপরেই উত্তর ২৪ পরগনা (১৭৬১), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (৮৮৫)। তালিকায় উপরের দিকেই আছে হাওড়া (৪৩৮) এবং হুগলি (৪৫৪)। তবে দুই বর্ধমান, দার্জিলিং, উত্তর দিনাজপুর এবং বীরভূমের মতো জেলাগুলোর দৈনিক সংক্রমণ উদ্বেগে রাখছে চিকিৎসকদের।
কলকাতায় বাড়ল দৈনিক কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। জানা যাচ্ছে, গত ২৪ ঘন্টায় মহানগরে সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ২০৫ জন। পজিটিভিটি রেট ২৭.৭৮ শতাংশ। গতদিন আক্রান্ত হয়েছিলেন ১হাজার ৮৭৯ জন। তালিকায় এরপরই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। এই জেলায় দৈনিক সংক্রমিতের হার ১৭০০-র উপর। বাংলায় গত দিনের চেয়ে মৃত্যু ও নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও বেড়েছে।
আরও পড়ুন: ‘কোভিড বিধি মেনে সুষ্ঠভাবে বইমেলা আয়োজনই বড় চ্যালেঞ্জ’, বলছেন ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়
সংক্রমণে লাগাম দিতে রাজ্য ও সব কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিকে টেস্টিং বাড়ানোর নির্দেশ দিল কেন্দ্র। মঙ্গলবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। করোনার দৈনিক সংক্রমণে লাগাম দেওয়া গিয়েছে। কিন্তু ভয় কাটেনি। ফলে কীভাবে কোভিড চিকিৎসা হবে তার নয়া নির্দেশিকা প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় সরকার। সেখানে স্টেরয়েডের ব্যবহারকে এড়ানোর কথা বলা হয়েছে। কাশি দুই থেকে তিন সপ্তাহ থাকলে টিবি রোগের পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
করোনা চিকিৎসায় এবার স্টেরয়েড প্রয়োগ এড়ানোর পরামর্শ দিল কেন্দ্র। কোভিজ টাস্ক ফোর্সের জারি করা নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, দুই বা তার বেশি সপ্তাহ ধরে রোগীর কফের সমস্যা থাকলে তাঁদের যক্ষ্মা পরীক্ষা (Tuberculosis Test) করাতে বলা হয়েছে। নির্দেশিকায় উল্লেখ, স্টেরয়েডের ব্যবহারের ফলে সেকেন্ডারি ইনফেকশন যেমন, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সহ নানা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কোভিড ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্সের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে, অক্সিজেন পরিপূরক প্রয়োজন হয় না এমন রোগীদের ইনজেকশনযোগ্য স্টেরয়েড দিলে উপকার মিলবে, এমন কোনও প্রমাণ নেই। তাই অতিরিক্ত স্টেরয়েডের ব্যবহার রোগীর হিতে বিপরীত হতে পারে।
নির্দেশিকায় কোভিড সংক্রমণকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে- মৃদু, মধ্যম ও গুরুতর উপসর্গযুক্ত। নির্দেশিকায় উল্লেখ, মৃদু উপসর্গদের হোম আইসোলেশনে থাকতে হবে। তবে শ্বাসের সমস্যা , জ্বর অথবা কাশির সমস্যা পাঁচদিনের বেশি থাকলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এক-দুই সপ্তাহেও কাশি না সারলে রোগীকে যক্ষা টেস্ট করাতে হবে। অক্সিজেন লেভেল ৯০-৯৩-এ নেমে গেল দ্রুত রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকায়। এদিনের কোভিড নির্দেশিকায় বাড়িতে নিজে নিজে চিকিৎসার ক্ষেত্রে ওষুধের ব্যবহার নিয়েও কড়াভাবে সতর্ক করেছে কেন্দ্র।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে পড়তে থাকুন