Bengal Covid Daily Update: অব্যাহত রাজ্যে করোনার সংক্রমণের দৌড়! একইসঙ্গে বেড়েছে দৈনিক আক্রান্ত-মৃত্যু। একদিনে সংক্রমিত ১১,৪৪৭, মৃত ৩৮। এই সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৫,৪১৮ জন। সামান্য বেড়ে সুস্থতার হার ৯১.০৯%। বাংলায় এই মুহূর্তে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ৫১ হাজার ৭০২, পজিটিভিটি রেট বা আক্রান্তের হার কমে ১৬.৯৮%।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬৭,৪০৪ জনের। সংক্রমণ এবং দৈনিক মৃত্যুর নিরিখে এখনও উদ্বেগের কারণ কলকাতা। শহরে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তর ২১৫৪ জন, মৃত বেড়ে ১৪। তারপরেই উত্তর ২৪ পরগনা (১৭৯৪) এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা (৮৮৮)। কলকাতা লাগোয়া এই দুই জেলায় মৃত ৮ এবং ২ জন। এরপরেই রয়েছে হাওড়া, হুগলি, দুই বর্ধমান এবং দার্জিলিং।
এদিকে, দেখতে দেখতে দু’বছর হয়ে গিয়েছে, সারা বিশ্বকে তটস্থ করে রেখেছে করোনাভাইরাস। প্রশ্ন উঠেছে, কবে মুক্তি মিলবে এই অতিমারীর কবল থেকে? সকলেই এই উত্তর জানতে মরিয়া। এবার অবশেষে এই নিয়ে মুখ খুললেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে এবিষয়ে খুব বেশি আশার আলো দেখাতে পারছেন না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়াসুস । মঙ্গলবার তিনি জানিয়েছেন, অতিমারী এখনও শেষ হয়নি। এবং তা শেষের কাছেও পৌঁছয়নি এখনও পর্যন্ত। বরং এখনও বহু দেশেই টিকাকরণের হার যেহেতু বেশ কম, তা রীতিমতো উদ্বেগ জাগাচ্ছে। এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে একথা জানা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে করোনা ভাইরাস নিয়ে আরও বেশি পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানোর জন্য বিশ্বের একাধিক দেশকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বানও জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে পজিটিভিটি রেট কমলেও এখনই বিধি-নিষেধ শিথিল নয়, জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
টুইটারেও নিজের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন WHO প্রধান। তিনি লেখেন, ‘‘সারা বিশ্বেই দাপট দেখাচ্ছে ওমিক্রন। যে সব দেশের টিকাকরণের হার কম, তাদের নিয়ে উদ্বিগ্ন রয়েছি। কেননা টিকা না নেওয়া ব্যক্তির অসুস্থতা ও মৃত্যুর সম্ভাবনা অনেক গুণ বেশি। আমার সকলের কাছে আরজি, সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপরের চাপ কমাতে নিজেদের পক্ষে যেটা সেরা সেটাই করুন।’
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে পড়তে থাকুন