Bengal Covid Daily Update: দেশের সঙ্গে রাজ্যেও অব্যাহত করোনার লংজাম্প। মঙ্গলবার নয় হাজার ছাড়িয়েছিল দৈনিক সংক্রমণ। বুধবার আরও লাফ দিল কোভিড গ্রাফ। সঙ্গে বাড়ল দৈনিক মৃত্যুও। ২৪ ঘণ্টায় রায়ে সংক্রমিত ১৪,০২২, মৃত ১৭। একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৬৪৩৮ জন, সুস্থতার হার আরও কমে ৯৬.৮৫%। সংক্রমণ বৃদ্ধির সঙ্গেই তাল মিলিয়েছে আক্রান্তের হার। রাজ্যে এই মুহূর্তে আক্রান্তের হার ২৩.১৭%। একধাক্কায় অনেকটা বেড়েছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। বাংলায় এই মুহূর্তে সক্রিয় আক্রান্ত ৩৩,০৪২, প্রায় ৭ হাজার বেড়েছে অ্যাক্টিভ কেস।
রাজ্যের দৈনিক সংক্রমণের সঙ্গেই বেড়েছে কলকাতার কোভিড গ্রাফ। শহরে একদিনে সংক্রমণ ৬ হাজার পেরিয়েছে (৬১৭০ জন)। এরপরেই উত্তর ২৪ পরগনা (২৫৪০), হাওড়া (১২৮০), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (৭৬৩), হুগলি (৬৭০)। পিছিয়ে নেই পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, দার্জিলিঙয়ের মতো জেলাগুলো।
এদিকে, দেশজুড়ে হু হু করে ছড়াচ্ছে করোনা সংক্রমণ। দ্রুত আক্রান্তের নিরিখে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি ৮ রাজ্যের। তালিকার শীর্ষে মহারাষ্ট্র রয়েছে। তারপরই স্থান পশ্চিমবঙ্গর। এরপর রয়েছে দিল্লি, কেরালা, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, ঝাড়খণ্ড এবং গুজরাট। বুধবার এই ঘোষণা করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লভ আগরওয়াল।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, দেশের ২৮টি জেলার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। এগুলিতে গত এক সপ্তাহে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার প্রায় ১০ শতাংশ। ৪৩টি জেলায় পজিটিভিটির হার ৫-১০ শতাংশ। কেন্দ্রীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে গত আট দিনে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির হার ৬.৩ গুণেরও বেশি।
উল্লেখ্য, বুধবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতের সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ২ লক্ষ ছাড়িয়েছে। এক দিনে আক্রান্ত ৫৮ হাজার ৯৭ জন। বাংলার পরিস্থিতি ভয় ধরাচ্ছে। মঙ্গলবারের স্বাস্থ্য দফতর রিপোর্ট মোতাবেক দৈনিক সংক্রমিত ৯ হাজার ৭৩ জন। প্রাণ গিয়েছে ১৬ জন।
আরও পড়ুন: করোনার হাইজাম্প, উদ্বেগজনক ৮ রাজ্যের অন্যতম বাংলা, ঘোষণা স্বাস্থ্যমন্ত্রকের
এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রক সাফ জানিয়ে দিল, গত ৩১ ডিসেম্বর রাজস্থানের উদয়পুরে ওমিক্রন আক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছিল। তাঁর মৃত্যু হয় ওমিক্রনের কারণেই। বুধবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লভ আগরওয়াল বলেছেন, ‘এটাই ভারতে প্রথম ওমিক্রন আক্রান্তের মৃত্যু। রাজস্থানের মৃত ব্যক্তি প্রবীণ ও তাঁর ডায়েবেটিস ছিল।’
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে স্পষ্ট হয়েছিল যে ৭৩ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি ৭৩ বছর বয়সী ওমিক্রন দ্বারা সংক্রামিত ছিলেন এবং দু’বার তাঁর নমুনা পরীক্ষায় নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। পরে ৩১ ডিসেম্বর উদয়পুরের একটি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
তিনি কোভিড-পরবর্তী নিউমোনিয়া সহ কমরবিডিটিস-ডায়াবেটিস মেলিটাস, হাইপারটেনশন এবং হাইপোথাইরয়েডিজমের কারণে মারা গিয়েছেন- উদয়পুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমএইচও) ডাঃ দীনেশ খারাদি এই ঘোষণা করেছিলেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন