Bengal Covid Daily Update: সোমবার রাজ্যের করোনা চিত্রে স্বস্তির ছবি থাকলেও, মঙ্গলবার ফের ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ। গত ২৪ ঘণ্টায় ২১ হাজার ছাড়াল দৈনিক সংক্রমণ। পাশাপাশি বাড়ল মৃত্যুও। একদিনে সংক্রমিত ২১,০৫৮, মৃত ১৯। এই সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৮০৩৭ জন, সুস্থতার হার কমে ৯৩.২০%। তবে কিছুটা স্বস্তি আক্রান্তের হারে সোমবার পর্যন্ত রাজ্যে সংক্রমণের হার পেরিয়েছিল ৩৫%। কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টায় নিম্নমুখী আক্রান্তের হার (৩২.৩৫%)।
কলকাতায় একদিনে সংক্রমিত ৬৫৬৫, মৃত ৬। এরপরেই আছে উত্তর ২৪ পরগনা। এই জেলায় সংক্রমিত ৪০১৬, মৃত ৫। হাওড়া ১৮১৫, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ১৪৩৫, হুগলিতে সংক্রমিত ১৩০৫।
আরও পড়ুন: ধর্মীয় আবেগই ঢাল, সিদ্ধান্ত বদলে বসবে জয়দেবের মেলা, ঘোষণা মন্ত্রীর
পিছিয়ে নেই পশ্চিম বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলো। এদিকে, গঙ্গাসাগর মেলার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে বলে মনে করে বিজেপি। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ”কোর্ট মেলার অনুমতি দিল, আমার মনে হয় আদালত পুনর্বিবেচনা করবেন। বিপুল সংখ্যায় মানুষ গঙ্গাসাগরে পৌঁছচ্ছেন। তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করার ন্যূনতম পরিকাঠামো রাজ্যের আছে কিনা তা ভেবে দেখা দরকার। মানুষের জীবনের কি কোনও দাম নেই?” এরই পাশাপাশি গঙ্গাসাগর মেলার নজরদারি কমিটি থেকে বিরোধী দলনেতার নাম বাদ দেওয়া নিয়েও রাজ্যকে কাঠগড়ায় তুলে সোচ্চার বিজেপির এই নেতা।
করোনা গ্রাসে বাংলা। ফি দিন হাজার-হাজার সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতেও শর্তসাপেক্ষে গঙ্গাসাগর মেলার অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। গঙ্গাসাগর মেলার জেরে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি আরও বেসামাল হতে পারে বলে আশহ্কা বিশেষজ্ঞদের। উদ্বিগ্ন রাজ্য বিজেপিও। মেলায় ছাড়পত্রের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে বলে মনে বিজেপি।
এদিন বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ”মেলার অনুমতি কোর্ট দিয়েছে। বিপুল সংখ্যায় মানুষ গঙ্গাসাগরে পৌঁছচ্ছেন। তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করার ন্যূনতম পরিকাঠামো রাজ্যের আছে কিনা তা ভেবে দেখা দরকার। মানুষের জীবনের কি কোনও দাম নেই?” তিনি আরও বলেন, ”কোর্ট ভার্চুয়ালি কাজকর্ম চালাচ্ছে। সরকারের গাফিলতির জন্য যাঁরা বেড়িয়ে যাচ্ছেন তাঁদের জীবনের কি কোনও মূল্য নেই? কোর্ট নিজেই সংক্রমণের কারণে সরাসরি হেয়ারিং নিচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে বিচার ব্যবস্থার গতি শ্লথ রয়েছে। কোর্ট মেলার অনুমতি দিল, আমার মনে হয় আদালত পুনর্বিবেচনা করবেন।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে পড়তে থাকুন