Bengal Covid Daily Update: ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনার দৈনিক সংক্রমণ সামান্য কমলেও ৮০০-র উপরেই সংক্রমণ। তবে সামান্য বেড়েছে মৃত্যু। জানা গিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত ৮৩৩ জন, মৃত ১৪। একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৭৭৫ জন, সুস্থতার হার ৯৮.৩২%। রাজ্যে এখন সক্রিয় সংক্রমণ ৭৫৩৫। ২১ অক্টোবর পর্যন্ত রাজ্যে মোট সংক্রমিত ১৫,৮৩,৬৪৬ আর মোট মৃত ১৯,০২১। রাজ্যের এখন সংক্রমণের হার ২.৫২%।
দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে উদ্বেগের কারণ সেই দক্ষিণবঙ্গ। শীর্ষে কলকাতা (২৩২), তারপরেই উত্তর ২৪ পরগনা (১৪৩)। এরপরে রয়েছে হুগলি (৮২), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (৬৯) এবং হাওড়া (৬৫)।
এদিকে, পুজো শেষ হতে না হতেই ফের দাপট দেখাতে শুরু করেছে মারণ ভাইরাস। কলকাতা-সহ শহরতলীতে নিত্যদিন হু-হু করে বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ছাড় পেলেন না টলিপাড়ার তারকাও। এবার করোনা সংক্রামিত অনির্বাণ ভট্টাচার্য (Anirban Bhattacharya)। পঞ্চমীর দিন গিয়েছিলেন ‘গোলন্দাজ’ (Golondaaj)-এর প্রিমিয়ারে। তারপরই বিপত্তি! বিশেষ উপসর্গ নেই। তবে শারীরিকভাবে খানিক কাবু হওয়াতেই করোনা পরীক্ষা করান। টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
বুধবার সকালেই এক সংবাদমাধ্যমের কাছে অনির্বাণ খোদ জানিয়েছেন যে, তিনি করোনায় আক্রান্ত। তাঁর নাট্য সহকর্মী সাধন পাঁড়ুইয়ের কাছ থেকেও জানা গিয়েছে যে, কোনওরকন কোভিড উপসর্গ নেই অভিনেতার শরীরে। অনির্বাণের স্ত্রী মধুরিমা জানিয়েছেন, দিন দশেক আগে টলি অভিনেতার করোনা ধরা পড়েছে। অর্থাৎ ‘গোলন্দাজ’-এর প্রিমিয়ার থেকে ফেরার পরদিনই অনির্বাণের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
উল্লেখ্য, এই বছর পুজোর মরসুমে অনির্বাণের ২টো ছবি মুক্তি পেয়েছে। প্রথমটা, বিরসা দাশগুপ্ত পরিচালিত ‘মুখোশ’, দ্বিতীয়টা ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘গোলোন্দাজ’, যেখানে দেব, ইশা সাহা, শ্রীকান্ত আচার্যের সঙ্গে স্ক্রিনস্পেশ শেয়ার করেছেন তিনি। ৯ তারিক বাইপাসের ধারে এক মাল্টিপ্লেক্সে আয়োজিত সেই ছবির প্রিমিয়ারেই উপস্থিত ছিলেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য। দেব-সহ আরও অনেক টলিপাড়ার তারকাই সেই প্রিমিয়ারে উপস্থিত ছিলেন। আবার পুজোর মাঝেই মুম্বইতে গিয়েছিলেন অভিনেতা। তা কোভিড সংক্রমণ ঘটল কোথা থেকে? সেই প্রশ্নই জাগছে।
অপরদিকে, লক্ষ্মীবারে ইতিহাস সৃষ্টি করল ভারত। ছুঁল ১০০ কোটি টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা। যার জেরে দেশজুড়ে খুশির জোয়ার। সেই জোয়ারে শামিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। টুইট করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী এই টিকাকরণের মাইলস্টোনকে ভারতীয় বিজ্ঞান, শিল্পোদ্যোগ এবং ১৩০ কোটি ভারতীয়র সম্মিলিত প্রচেষ্টার জয় হিসাবে আখ্যা দিয়েছেন।
এদিন মোদী লেখেন, “ভারত ইতিহাস রচনা করল। আমরা ভারতীয় বিজ্ঞান, শিল্পোদ্যোগ এবং ১৩০ কোটি ভারতীয়র সম্মিলিত প্রচেষ্টার জয়ের সাক্ষী রইলাম। ১০০ কোটি টিকাকরণ হওয়ার জন্য ভারতকে অভিনন্দন। আমাদের চিকিৎসক, নার্স এবং এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য যাঁরা কাজ করেছেন তাঁদের কুর্নিশ।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন