Bengal Covid Daily Update: গত ২৪ ঘণ্টায় অনেকটাই বাড়ল রাজ্যের দৈনিক সংক্রমণ। সোমবার সাড়ে ৭৫০-র নীচে ছিল সংক্রমণ। একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮৬২, মৃত ১১। অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় বাড়ল সংক্রমণে মৃত্যুও। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট সংক্রমিত ১৫,৯৪,৪৯৫, মৃত ১৯,১৬০। ২ নভেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে সক্রিয় সংক্রমণ ৮১২৬, সামান্য বেড়ে সুস্থতার হার ৯৮.২৯%। একদিনে সুস্থ হয়েছে ৮৭১ জন, আক্রান্তের হার ২.২০%।
এদিকে, সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে সেই কলকাতা। শহরে একদিনে আক্রান্ত ২৪৯ জন, তারপরেই উত্তর ২৪ পরগনা (১৩৫), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (৮৮), হুগলি (৭০) এবং হাওড়া (৬১)। উত্তরবঙ্গে শীর্ষে দার্জিলিং (২২), তারপর কোচবিহার (১৬) এবং জলপাইগুড়ি (১৪)। এদিকে,
করোনায় লাগাম টানতে দেশজুড়ে জারি টিকাকরণ অভিযান। নভেম্বরের শেষ নাগাদ তামিলনাড়ু সরকার রাজ্যের ১০০ শতাংশকে জনগণকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ দিয়ে দেশের মধ্যে নজির গড়ার সংকল্প নিয়েছে। সেই সংকল্পকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে এবার তামিলনাড়ু স্বাস্থ্য দফতর রাজ্যের প্রতিটি গ্রামে গিয়ে টিকাকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
করোনা নিয়ন্ত্রণে দেশজুড়ে জোরদার তৎপরতার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে টিকাকরণ অভিযান। অন্য রাজ্যগুলির পাশাপাশি দক্ষিণের রাজ্য তামিলনাড়ুতেও এই প্রয়াস জারি। দীপাবলির আগে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মা সুব্রামানিয়ান স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে রাজধানী চেন্নাইয়ের বাজার এলাকা পরিদর্শন করেছেন। মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার নিয়মগুলি নিয়ে আরও বেশি সচেতন করেছেন ক্রেতা-বিক্রেতাদের। এর আগে চেন্নাইয়ের বাজারগুলিতে করোনা-বিধি ভেঙে দেদার জমায়েতের অভিযোগ সামনে এসেছিল। তারপরেই এই উদ্যোগ নেন খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
মঙ্গলবার থেকেই চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে তৈরি দল তামিলনাড়ুর গ্রামে-গ্রামে ঘুরে টিকাকরণ অভিযান শুরু করেছে। টিকাকরণে যোগ্যরা যাতে প্রত্যেকে টিকা পান সেদিকটি নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের ওই দলকে সাহায্য করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তামিলনাডুর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যের ১২ হাজার ৫২৫টি পঞ্চায়েতের প্রতিটিতে ৬-৭টি গ্রাম রয়েছে। রাজ্য সরকারের এই প্রয়াসের মাধ্যমে প্রায় ৮০ হাজার গ্রামে টিকাকরণ অভিযান চালানো হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এপ্রসঙ্গে তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্যমন্ত্রী মা সুব্রামানিয়ান বলেন, “এর আগে টিকাকরণ শিবিরগুলিতে পাঁচ লক্ষ টিকা দেওয়া হয়েছিল। তবে এখন টিকাকরণ ধীর গতিতে চলছে। এই সমস্যা মেটাতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে প্রতিটি গ্রামে গিয়ে টিকাদান অভিযানের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। গ্রামের মোট জনসংখ্যার তথ্য সংগ্রহ করে যোগ্যদের চিহ্নিত করে করোনার টিকা দেওয়া হবে। যাঁরা টিকা নেননি, তাঁদেরও জানানো হবে এবার গ্রামে থেকেই টিকা নিন।” তিনি আরও জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই রাজ্যের ৬৩ লক্ষ মানুষকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। ৫০ লক্ষ মানুষ টিকার দ্বিতীয় ডোজটিও পেয়ে গিয়েছেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন