Advertisment

পুজোর দিনেও ৯০০-র উপরে দৈনিক কোভিড গ্রাফ! উদ্বেগ কলকাতা এবং লাগোয়া জেলা

Bengal Covid Daily Update: ৪ নভেম্বর রাজ্যে মোট সংক্রমিত ১৫,৯৬,৩৩২, সক্রিয় সংক্রমণ ৮১৯৩।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

প্রতীকী ছবি

Bengal Covid Daily Update: কালীপুজোর দিন শতাংশ কমে প্রায় এক থাকল রাজ্যের দৈনিক করোনা সংক্রমণ। তবে করোনা গ্রাফ সেই ৯০০-র উপরেই রয়েছে। একই রয়েছে মৃত্যুর সংখ্যা। একদিনে সংক্রমিত ৯১৮, মৃত ১৪। বুধবার সংক্রমিত ছিল ৯১৮, মৃত্যু ছিল সেই ১৪। ৪ নভেম্বর রাজ্যে মোট সংক্রমিত ১৫,৯৬,৩৩২, সক্রিয় সংক্রমণ ৮১৯৩। একই সঙ্গে কমেছে সুস্থতার হার এবং সংক্রমণের হার। রাজ্যে এখন সুস্থতার হার ৯৮.২৮% আর আক্রান্তের হার ২.২২%। মারণ ভাইরাসে রাজ্যে মোট মৃত ১৯,১৭৪ জন।

Advertisment

দৈনিক সংক্রমণ নিরিখে উদ্বেগ জিইয়ে রাখছে দক্ষিণবঙ্গ। বিশেষ করে কলকাতা এবং লাগোয়া দুই ২৪ পরগনা ও হুগলি। কলকাতায় একদিনে সংক্রমিত ২৪৫ জন, উত্তর ২৪ পরগনায় ১৪৭, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৭৫ জন। হুগলিতে ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত ৮১ জন, পাশের জেলা হাওড়ায় সংক্রমিত ৮০ জন। উত্তরবঙ্গের নিরিখে শীর্ষে দার্জিলিং। তারপরেই দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি।   

দীপাবলির দিনে দেশের সংক্রমণ পরিস্থিতি মোটের উপর একই জায়গায়। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে দেশে করোনা আক্রান্ত ১২ হাজার ৮৮৫। একদিনে করোনায় মৃত্যু ৪৬১ জনের। স্বস্তি করোনামুক্তিতেও। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ৫৪ জন।

সুস্থ হচ্ছে দেশ? উত্তরটা বলার এখনই সময় না এলেও সংক্রমণ পরিস্থিতি মোটের উপর নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। আজও ১২ হাজারের ঘরেই রয়েছে দেশের দৈনিক সংক্রমণ। সংক্রমণ কিছুটা কমলেও আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও একই কথাই বলেছেন। করোনা এড়াতে দেশের যোগ্য প্রত্যেককেই যাতে টিকাকরণের আওতায় আনা যায় সেব্যাপারে প্রশাসনের কর্তাদের উদ্যোগী হতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

সম্প্রতি দেশের ৪০ জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। ওই জেলাগুলিতে করোনা টিকার প্রথম ডোজই পাননি ৫০ শতাংশ মানুষ। টিকার দ্বিতীয় ডোজও উল্লেখযোগ্যভাবে ওই জেলাগুলিতে বেশ কম। জেলাগুলির প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে মোদী বলেন, “প্রতিটি বাড়িতে টিকাকরণ অভিযান নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। ‘হর ঘর দস্তক’ মন্ত্রের সঙ্গে যে বাড়িগুলিতে টিকার বেড়াজাল এখনও তৈরি হয়নি সেখানে পৌঁছে যেতে হবে। আশা কর্মী-সহ অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা সত্যিই কঠোর পরিশ্রম করেছেন। তাঁরা মানুষকে টিকা দেওয়ার জন্য অনেক পথ হেঁটেছেন। আমরা ১০০ কোটি করোনা টিকার ডোজ দিয়েছি। তবে এতে আত্মতুষ্টির জায়গা নেই। এখন নতুন একটি সমস্যা তৈরি হয়েছে। আমাদের শেষ অবধি লড়াই করতে হবে।”

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Daily Corona cases Kolkata corona
Advertisment