Bengal Covid Daily Update: ফের একধাক্কায় অনেকটা বাড়ল করোনার দৈনিক সংক্রমণ। রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত ৯১৯, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪। একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৮৭৯ জন, সুস্থতার হার ৯৮.২৯%। রাজ্যে বুধবার আক্রান্তের হার ২.২৪%, সক্রিয় সংক্রমণ ৮১৫২। দুর্গাপুজার পর থেকেই রাজ্যে ঊর্ধ্বমুখী দৈনিক সংক্রমণ। একটা সময় হাজার ছুঁইছুঁই ছিল সংক্রমণ। অসতর্ক পুজো জমায়েত এই সংক্রমণবৃদ্ধির পিছনে। এমনটাই অভিযোগ করেছিলেন চিকিৎসকরা। সেই থেকেই ক্রমেই উপরের দিকে থেকেছে করোনা গ্রাফ। কালীপুজোর আগে ফের একবার দৈনিক গ্রাফ ৯০০ পার করায় উদ্বেগ বাড়ল নবান্নের।
এদিকে, জেলাভিত্তিক দৈনিক সংক্রমণের বিচারে শীর্ষে সেই কলকাতাই। শহরে একদিনে সংক্রমিত ২৪৫, পিছিয়ে নেই উত্তর ২৪ পরগনা। কলকাতা লাগোয়া এই শহরের দৈনিক সংক্রমণ ১৪৫, হুগলিতে সংক্রমিত ৮১। তারপরেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং হাওড়া। কালীপুজা মিটলেই জগদ্ধাত্রী পুজোর আয়োজন। আর এই পুজো আয়োজনের নিরিখে এগিয়ে হুগলি জেলা। তাই দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে হুগলি তিন নম্বর স্থানে উঠে আসায় চিন্তার ভাঁজ জেলাকর্তাদের কপালে।
উত্তরবঙ্গে সংক্রমণের শীর্ষে এগিয়ে দার্জিলিং। তারপরেই দক্ষিণ দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহার। এর মধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেল ভারত বায়োটেকের করোনা টিকা কোভ্যাক্সিন। জরুরি প্রয়োজনে এবার কোভ্যাক্সিন ব্যবহার করা যাবে। হুয়ের স্বীকৃতি না থাকায় এতদিন কোভ্যাক্সিন নিয়ে বিদেশ সফরে গেলেও ভারতীয়দের সমস্যায় পড়তে হত। কিন্তু, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন মেলায় এবার দেশীয় এই টিকা নিয়েই বিদেশ সফর করা যাবে। হু এর আগে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য মাত্র ছ’টি করোনা টিকাকে অনুমোদন দিয়েছে। সেগুলি হল কোভিশিল্ড, মডার্না, ফাইজার, জনসন অ্যান্ড জনসন, সিনোফার্ম এবং সিনোভ্যাক।
কোভ্যাক্সিনের অনুমোদনের জন্য অনেকদিন আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে আবেদন করেছিল ভারত বায়োটেক। কিন্তু জটিলতা বাড়ছিল। চলতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের শেষে হু জানায়, কোভ্যাক্সিন সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি জিজ্ঞাসের জবাব টিকা নির্মাণকারী সংস্থার কাছ থেকে পাননি। ফলে কোভ্যাক্সিনের স্বীকৃতির বিষয়টি থমকে রয়েছে। যখন এই টিকা সংক্রান্ত যাবতীয় প্রশ্নের জবাব মিলবে তখনই কোভ্যাক্সিনকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে।
শেষ পর্যন্ত কয়েক সপ্তাহ আগে হু-য়ের দফতরে ফের টিকাক তৈরির নথি পাঠায় ভারত বায়োটেক। যা নিয়ে পর্যালোচনা চলছিল। শেষ পর্যন্ত দীপাবলির আগে স্বস্তি দিয়ে হু জানিয়ে দিল, কোভ্যাক্সিনকে অনুমোদনের বিষয়টি।কোভ্যাক্সিনকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ছাড়পত্র দেওয়া ভারতীয় বিজ্ঞানীদের বড় সাফল্য বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন