Bengal Covid Daily Update: সংক্রমণ গ্রাফের হাইজাম্প বজায়। রাজ্যে একদিনে করোনা আক্রান্ত নয় হাজার পার। পাল্লা দিয়ে বাড়ল মৃতের সংখ্যা। বাংলায় ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত ৯০৭৩, মৃত ১৬। সোমবার এই গ্রাফ নিম্নমুখী থাকলেও, এদিন ফের বাড়ল সংক্রমণের গতি। জানা গিয়েছে, একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৩৭৬৮ জন, সুস্থতার হার ৯৭.২৮%। একধাক্কায় ৫ হাজার বেড়ে রাজ্যে এই মুহূর্তে সক্রিয় সংক্রমণ ২৫, ৪৭৫। সামান্য কমে সংক্রমণের হার ১৮.৯৬%।
রাজ্যে বেড়ে চলা সংক্রমণের মধ্যেই কলকাতার দৈনিক সংক্রমণ সাড়ে ৪ হাজার ছাড়িয়েছে। পাশাপাশি একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। শহরে একদিনে সংক্রমিত ৪৭৫৯ জন। যা মোট সংক্রমণের প্রায় ৫৩%। পাশাপাশি ঊর্ধ্বমুখী উত্তর ২৪ পরগনা (১৩৯১), হাওড়া (৬৯৮), দক্ষিণ ২৪ পরগনার (৫২৫) এবং হুগলির (৪০০) সংক্রমণ।
পিছিয়ে নেই দুই বর্ধমান, নদিয়া, বীরভূমের মতো জেলাও। বীরভূমে একদিনে মৃত ৪ জন। এদিকে, করোনা আতঙ্ক গ্রাস করেছে আপামর রাজ্যবাসীকে। তা নিয়ে অবশ্য অনেকেরই হেলদোল নেই। করোনা বিধি ঘোষণার পরের দিন রাজ্যের নানা দিক থেকে যে চিত্র ভেসে উঠেছে তা মোটেই স্বস্তির নয়। বিশেষত ভোট রাজনীতির চিত্র। তাতে অবশ্য রাজনীতির কারবারিদের বড় অংশের কিছু যে যায় আসে না তাঁদের একাংশের মনোভাবেই স্পষ্ট হয়েছে।
রাজ্যে চার পুরনিগমে ভোট স্থগিত করেনি রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রাজ্য সরকারও সেই সিদ্ধান্তে সহমত পোষণ করেছে। রাজ্যের মানুষ লক্ষ্য করেছে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময় করোনা বিধিকে কিভাবে লঙ্ঘন করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে কোনও দলই পিছিয়ে নেই। লড়াইয়ের ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে মরিয়া তাঁরা। তবে মজার বিষয় হল এই যে তাঁরা মনে করে ‘জনপ্রিয়তাই’ নাকি এই ভিড়ের কারণ! মানুষ নিজেরাই হাজির হয়ে গিয়েছে! মসনদে বসবে, কিন্তু ভিড়ের দায় তাঁরা নেবেন না। এরই মধ্যে আবার অধিকাংশের মুখেই নেই মাস্ক।
আরও পড়ুন: ‘বাড়ি ফিরব কী করে?’, ভেবেই ঘুম উড়েছে শহরের হোটেল মালিক-কর্মীদের
২২ জানুয়ারি বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল ও শিলিগুড়ি পুরনিগমের নির্বাচন। নির্বাচনী প্রচারের সময় যে করোনা বিধি শিকেয় উঠবে না তার গ্যারান্টি কি কেউ দিতে পারবে? এই প্রশ্ন উঠছে সর্বত্র। অভিজ্ঞ মহলের মতে, বিধিনিষেধ ঘোষণা করার পরও ‘দায়িত্বশীল’ নাগরিকের মতো রাজনৈতিক নেতাদের একটা বড় অংশ তাঁদের কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। তবে কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই প্রশাসনের। সেখানে মাস্ক না পড়লেও কারও চোখে পড়ছে না। কোনও পদক্ষেপও হয় না।
আরও পড়ুন: সংক্রমিত হলে শুধুই প্যারাসিটামল আর গার্গল! ওমিক্রন আবহে চিকিৎসকদের কী বার্তা
এদিকে ৭টায় শেষ ট্রেন ছাড়ার ঘোষণা করায় যে বিপত্তি ঘটেছে তার দায় কে নেবে? এর ফলে হাওড়া ও শিয়ালদা স্টেশনে জনোজোয়ারের সৃষ্টি হয়েছিল। অভিজ্ঞ মহল মনে করে, করোনা সংক্রমণ বিস্তারের জন্য এমন পরিস্থিতি তৈরি করার জন্যও নিশ্চয় কেউ দায়ী নয়! করোনা বিধি প্রস্তুত করার এমন পরামর্শের ফল কখনও ভালো হতে পারে না বলেই তাঁরা মনে করছেন। যদিও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সোমবারই শেষ ট্রেনের সময় রাত ১০টা করা হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন