Bengal Covid Daily Update: গত ৪৮ ঘণ্টায় ব্যাপক বাড়ল করোনার দৈনিক সংক্রমণ-মৃত্যু। সোমবার রাজ্যে সংক্রমিত ছিল সাড়ে ৪০০-র নীচে। বুধবার সেই সংখ্যা হাজার ছাড়াল। একদিনে বাংলায় সংক্রমিত ১০৮৯, মৃত ১২। রাজ্যে একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৮৩২ জন, সুস্থতার হার ৯৮.৩৩%। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা।
বাংলায় এই মুহূর্তে সক্রিয় সংক্রমণ ৭৭২৭। একটা সময় সাড়ে ৭ হাজারের নীচে ছিল অ্যাক্টিভ সংক্রমণ। বাড়ল আক্রান্তের হার। রাজ্যে এই মুহূর্তে আক্রান্তের হার ২.৮৪%। জানা গিয়েছে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত জেলা কলকাতা। শহরে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত ৫৪০ জন। তারপরেই উত্তর ২৪ পরগনা ১৪৫ এবং হাওড়া ৭৯। এদিকে, রাজ্যে যখন করোনার দৈনিক সংক্রমণের হাইজাম্প, তখন নতুন করে ওমিক্রন আক্রান্ত ৫ জন। এঁদের নিয়ে এই মুহূর্তে রাজ্যে করোনার নতুন স্ট্রেনে আক্রান্ত ১১ জন। জানা গিয়েছে ৫ আক্রান্তের একজন বাদে বাকিদের বিদেশ সফররের ইতিহাস নেই। তাহলে কীভাবে তাঁরা সংক্রমিত হলেন? এই প্রশ্নই ভাবাচ্ছে চিকিৎসকদের। যদিও তাঁদের একটি অংশের দাবি, ‘গোষ্ঠী সংক্রমণের জেরেই ৪ জন ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছে।‘
স্বাস্থ্য দফতর সুত্রে খবর, আক্রান্তদের মধ্যে ২ জন কলকাতা, একজন দমদম এবং একজন হাওড়ার বাসিন্দা। রাজ্যের তরফে মোট ১০৭ জনের নমুনা জিন বিন্যাসে পাঠানো হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে থেকে ৫ জনের দেহে ওমিক্রনের হদিশ মিলেছে। পাশাপাশি রাজ্যে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। ভয় ধরাচ্ছে ওমিক্রন। উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী। এই পরিস্থিতিতে কী স্কুল, কলেজ সহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি খোলা থাকবে? চালু থাকবে ট্রেন? বুধবার সাগরে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে এপ্রসঙ্গে বড় ইঙ্গিত দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কোভিড লকডাউনের পর গত ১৬ নভেম্বর থেকে রাজ্যের স্কুল, কলেজ খুলেছে। আপাতত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলে পঠনপাঠন হচ্ছে। কিন্তু, করোনার নয়া প্রজাতির হানায় চিন্তা বাড়ছে। বাড়ছে সংক্রমণের সংখ্যাও। এই পরিস্থিতিতে সচিবদের আগামী কয়েকদিন অবস্থার উপর নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এ দিন প্রশাসনিক বৈঠকে স্কুল, কলেজ চালু রাখা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিডের তৃতীয় ঢেউ ফের শুরু হয়েছে। ওমিক্রন বাড়ছে। এই অবস্থায় স্কুল ,কলেজ খোলা থাকবে কিনা তা দেখতে হবে। মাধ্যমিকও রয়েছে। পরিস্থিতির উপর নাজর রাখতে হবে। সংক্রমণের সংখ্যা বাড়লে প্রয়োজনে আবার স্কুল, কলেজ বন্ধ করে দিতে হবে।’ তাঁর সাফ কথা, ‘বাচ্চাদের স্বাস্থের কথা আগে ভাবতে হবে। দেখতে হবে যাতে ওরা অসুস্থ না হয়ে পড়ে। পরিস্থিতির পর্যালোচনা করতে হবে।’ তবে, এখনই উদ্বিগ্ন হওয়ার বা ভীতির মতো অবস্থা হয়নি বলেও দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্য দফতরের সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম প্রশাসনিক বৈঠকে জানান, কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে সংক্রমণের হার গত কয়েকদিনে বেড়েছে। এই পরিস্থিতে কলকাতা কনটেনমেন্ট জোন করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে বছরের শেষ ও নতুন বছরের শুরুতে রাজ্যবাসীর বিভিন্ন পরিকল্পনা থাকে। সেই কারণে ৩ জানুয়ারি থেকে কনটেনমেন্ট জোন করার কথা বলেছেন মমতা। প্রয়োজনে জানুয়ারি থেকেই ফের সরকারি, বেসরকারি দফতরে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ চালুর কথাও জানিয়েছেন মমতা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন