Bengal Covid Daily Update: রাজ্যে ফের বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ-মৃত্যু। একদিনে আক্রান্ত ৭০৫, মৃত ১৩। কমতির দিকে অ্যাক্টিভ কেস এবং করোনা আক্রান্তের হার। বাংলায় এই মুহূর্তে সক্রিয় সংক্রমণ ৭,৭৩১ এবং আক্রান্তের হার দুয়ের নীচে নেমে ১.৯৫%। একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৬৯৪ জন, সুস্থতার হার ৯৮.৩২%। জেলাভিত্তিক সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে কলকাতা (১৯২), তারপর উত্তর (১৩৭) এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা (৬৪)। এদের পিছনেই রয়েছে হাওড়া (৪৬) এবং হুগলী (৫৫)। পাশাপাশি করোনার ওমিক্রন প্রজাতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ায় ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে রাত্রীকালিন বিধিনিষেধ।
এদিকে, এখনও পর্যন্ত ভারতে ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মেলেনি। মঙ্গলবার সংসদে এমনই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ড্যভিয়া। এদিন মাণ্ড্যভিয়া আরও জানান, করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে সতর্ক রয়েছে কেন্দ্র। দেশের প্রতিটি বন্দরে বাইরে থেকে আসা যাত্রীদের উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগ বিশ্বজুড়ে। খোদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও ভাইরাসের এই নতুন প্রজাতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। গোটা বিশ্বকে এর মোকাবিলার জন্য সবরকমভাবে প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন WHO-র বিশেষজ্ঞরা। ওমিক্রন মোকাবিলায় চূড়ান্ত সতর্ক ভারতও। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এপ্রসঙ্গে সংসদে বলেন, “এখনও পর্যন্ত ১৪টি দেশে Omicron ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলেছে। ভারতে এখনও ওমিক্রনের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়নি। তবে সন্দেহজনক কেসগুলি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। সম্ভাব্য সবরকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
এদিন সংসদে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “মহামারী চলাকালীন আমরা অনেক কিছু শিখেছি। পরীক্ষার জন্য ল্যাব আছে। করোনার নতুন এই প্রজাতি যাতে দেশে ঢুকে পড়তে না পারে তা নিশ্চিত করার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।” গতকালই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে একটি পর্যালোচনা বৈঠক করেছিলেন। ওমিক্রন মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় কী কী ধরনের সাবধানতা নেওয়া যেতে পারে তা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়েছে ওই বৈঠকে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন