আগেও চেষ্টা হয়েছিল, তেমন ফলপ্রসূ হয়নি। ফের চেষ্টা শুরু হয়েছে ট্যাক্সিকে অ্যাপ-পরিষেবার মধ্যে নিয়ে আসার।
এক বছর আগেও একবার অ্যাপ ক্যাব চালু করার চেষ্টা করেছিল বেঙ্গল ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ)। কিন্তু তখন পরিষেবা চালু করার কয়েকদিন পর তা পুরোপুরি ভেস্তে গিয়েছিল। এবার ট্যাক্সির মিটার খুলে দিয়ে অ্যাপ চালু করার প্রস্তাব দিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের সভাপতি বিমল গুহ জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রীর কাছে এ বিষয়ে আবেদন করা হয়েছে। পরিবহন দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে এ নিয়ে।
কলকাতায় এই মুহূর্তে কমবেশি ২৬ হাজার হলুদ ও নীল-সাদা ট্যাক্সি রয়েছে। ট্যাক্সি সংগঠনের এক কর্তার দাবি, "অনেক ক্ষেত্রেই ট্যাক্সিচালকরা মিটার খারাপ বলে বড়সড় ভাড়া হাঁকে যাত্রীদের কাছ থেকে। নিরুপায় যাত্রীদের চালকের ওই অন্যায় দাবি মেনে নিতে হয়। সেক্ষেত্রে ১০০ টাকার ভাড়ায় ২৫০ টাকা দেওয়া নেহাতই মামুলি ব্যাপার। আর রিফিউজ করা তো সবসময়ই হচ্ছে।" বিমলবাবু তাই ফের একবার দুটো অ্যাপ কোম্পানীর সঙ্গে কথা বলেছেন। ঠিক কী করতে চায় বেঙ্গল ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশন ?
বিমলবাবু বলেন, "বিষয়টা আমাদের সভায় পাশ হয়েছে। আমরা পরিবহন মন্ত্রীকে এ বিষয়ে চিঠি দিয়েছি। আমরা চাইছি ২৬ হাজার ট্যাক্সিতেই এই অ্যাপ চালু হোক। মিটার যখন চালুই থাকে না, তখন সব মিটার খুলে নিয়ে অ্যাপ চালু করাই ভাল। পয়লা বৈশাখ থেকে এই পরিষেবা চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে।"
এর আগে তো আপনাদের অ্যাপ-উদ্যোগ ফ্লপ করেছিল। এবার কি বাস্তবায়িত করা সম্ভব?
বিমলবাবু বলেন, "এটা ঠিক, আগের বারের উদ্যোগ সফল হয়নি। তখন ৩২-৩৩টা ট্যাক্সিতে অ্যাপ চালু হয়েছিল। তাই বেশিদিন চলেনি। কিন্তু এবার চালু করবই। চালকদের জন্যই আগের বার পরিকল্পনা সফল হয়নি। বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স ফেল করবে, তাও ভাবিনি। তবে এবার মিটার খুলে ফেললে অ্যাপ চালু থাকবে।"
ভাড়ার বিষয়ে কী ভাবছেন?
বিমলবাবুর বক্তব্য, "নতুন অ্যাপে ভাড়া একই থাকবে। তবে সারচার্জ হিসাবে ১০ টাকা নেওয়া হতে পারে। তা ছাড়া অ্যাপ কোম্পানীর কিছু খরচও আছে। ইতিমধ্যে দুটো সংস্থার সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা বদ্ধপরিকর এবার মিটার ট্যাক্সিতে এই অ্যাপ চালু করতে। তাতে যাত্রীরাই উপকৃত হবেন।”
আদপে পয়লা বৈশাখ চালু হবে?
বিমল গুহ বলেন, "ওই দিন অন্তত ২০০ ট্যাক্সিতে অ্যাপ চালু হবেই। আজ সরকার অনুমতি দিলে কালই চালু করব।"
সত্যিই এবার সফলভাবে রূপায়িত হবে আগের বার মুখ থুবড়ে পড়া উদ্যোগ? না কি শেষমেষ সেই 'পুনর্মূষিক ভব'? সময়ই দেবে উত্তরটা।