বিগত পাঁচ বছরে বাংলায় একটু একটু করে ক্ষমতা বাড়িয়েছে বিজেপি। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে তা আরও স্পষ্ট। এবার রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের 'বাঙালি' ভাবমূর্তির পালটা জবাব দিতে নয়া কৌশল বঙ্গ বিজেপির। রাজ্যে বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসবে প্রত্যক্ষ ভাবে অংশ নেওয়ার জন্য মরিয়া গেরুয়া শিবির। দুর্গা পুজা উদ্যোক্তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখতে শুরু করেছে বিজেপি নেতৃত্ব।
আগামী ৪ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে দুর্গা পুজো। ইতিমধ্যে কলকাতা সহ গোটা রাজ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে পুজোর প্রস্তুতি। বাংলায় ৩৪ বছরের বাম জমানায় নেতা মন্ত্রীরা চিরকালই পুজো উদ্যোক্তাদের থেকে দূরত্ব বজায় রেখেই চলেছেন। তবে তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা সেই নীতি অনুসরণ কোনোদিনই করেননি। এমন কী ২০১১তে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই তৃণমূলের নেতারা বাংলার নামি দামী পুজো কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেছেন। এখনও সেই ট্র্যাডিশন চলছে। কলকাতার সবচেয়ে জনপ্রিয় পুজোগুলোর অধিকাংশেই সভাপতির পদে এখন রয়েছেন ঘাস ফুল নেতারা। পুজোর পর বিসর্জনের জন্য রেডরোডে কার্নিভ্যালের আয়োজন হয় সরকারি উদ্যোগেই।
টলিপাড়ায় জরুরি বৈঠক, উপস্থিত মুম্বাই, তামিল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি
এ বছর থেকে পরিস্থিতি পালটাতে শুরু করেছে অনেকটাই। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির অভাবনীয় ফলাফলের পর বিজেপি নেতাদের কাছে ইতিমধ্যে বিভিন্ন পুজো উদ্বোধনের আমন্ত্রণ আসতে শুরু করেছে। এই প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানালেন, "সারা রাজ্য জুড়েই বিজেপির নেতারা দুর্গা পুজোয় অংশগ্রহণ করবেন। আমি নিজেই পুজো উদ্বোধন করব"।
উত্তর কলকাতার বিজেপি প্রেসিডেন্ট দীনেশ পাণ্ডে বলেছেন, "আমরা দলের উচ্চপদে আসীন নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। রাজ্যের পুজো কমিটি এবং ক্লাবগুলোর সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দরকার পরলে বিজেপির জাতীয় স্তরের নেতৃত্বকে স্পনসরশিপ জোগাড় করার জন্যেও অনুরোধ করা হবে।
"আমার পাড়ায় পুজো উদ্যোক্তা কমিটির সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে সবসময়ই। তবে আগে যাদের তেমন অংশগ্রহণ ছিল না, সে সমস্ত বিজেপি নেতাদেরও এখন ক্লাব থেকে ডাকা হচ্ছে", বললেন জলপাইগুড়ির বিজেপি সভাপতি দেবাশিস চক্রবর্তী।
Read the full story in English