জারি হয়েছে তৃতীয় পর্বের লকডাউন। এই পর্বে কোন জোনে কী কী বিষয়ে ছাড় রয়েছে তা আগেই গাইডলাইন প্রকাশ করে জানিয়েছে কেন্দ্র। রাজ্য সরকারগুলিকে সেই গাইডলাইন মেনে আগ্রাধিকারের ভিত্তিতে নির্দেশিকা জারি করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু, গত দু'দিনে তা করে উঠতে পারেনি পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ফলে, গ্রিন জোন ও অরেঞ্জ জোনে কীসে ছাড়, আর কীসে তা নেই তা ঘিরে এদিন বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। রাজ্যের গ্রিন জোনের আওতাভুক্ত জেলাগুলি সম্পূর্ণ স্তব্ধ রইল। অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দোকান ও পরিষেবা ছাড়া সব কিছুই বন্ধ ছিল। কাজ হল না অরেঞ্জ জোনের অন্তর্ভুক্ত জেলাতেও।
তৃতীয় পর্যায়ের লকডাউনে বাংলায় কোথায় কী ধরনের গতিবিধিতে ছাড় মিলবে, তা নির্ধারণে আজ বৈঠকে বসছে রাজ্য প্রশাসন। মুখ্যসচিব রাজীব সিনহার নেতৃত্বাধীন টাস্ক ফোর্স এই ছাড়ের বিষয়টি স্থির করবে। জানা গিয়েছে যে, বর্ধিত লকডাউনের কেন্দ্রীয় গাইডলাইন বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, রেড জোনে কড়া লকডাউন বলবৎ থাকবে।
করোনা সংক্রমণের গতিবিধি ও মৃত্যুর সংখ্য়া পর্যালোচনা করে গোটা দেশের সব জেলাকে গ্রিন, অরেঞ্জ ও রেড জোনের অন্তর্ভুক্ত করেছে কেন্দ্র। সেই অনুসারে কলকাতা সহ এ রাজ্যের ১০ জেলা রেড জোনের আওতাধীন। ৫ টি জেলাকে অরেঞ্জ জোনের তালিকায় রাখা হয়েছে। বাকি ৮ জেলায় কোনও সংক্রমণ না থাকায় গ্রিন জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত নয় রাজ্য সরকার। প্রতিবাদ জানিয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছে নবান্ন। রাজ্যের মতে, বাংলায় চারটি জেলা রেড জোনের অন্তর্গত, ১১টি অরেঞ্জ ও ৮টি জেলা গ্রিন জোনভুক্ত।
আরও পড়ুন- বাংলায় লকডাউন কতটা শিথিল? আজ জানাবে মমতা সরকার
বিভ্রান্তি ঘিরে কনফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেড ইউনিয়ানের সভাপতি সুশীল পোদ্দার বলেন, 'রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা প্রকাশের পরই কোন দোকান কোথায় খুলবে তা চূড়ান্ত হবে।' এই সংগঠনের প্রায় ১০ লক্ষ সদস্য।
এর আগে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন গ্রিন ও অরেঞ্জ জেলাগুলিতে সর্বাধিক ২০ যাত্রী নিয়ে জেলার মধ্যেই বাস চলাচল করতে পারবে। তবে, খরচের কথা বিবেচনা করে এই প্রস্তাবে রাজি নয় বাস মালিক সংগঠনগুলি। একাধিক বাস মালিক সংগঠনের তরফে বলা হয়েছে, রাজ্য সরকার ভর্তুকি দিলে বা রিক্যুইজিশনের ভিত্তিতে তারা বাস চালাতে রাজি।
কেন্দ্রীয় গাইডলাইন অনুসারে সোমবার থেকে মদের দোকান খোলায় ছাড় রয়েছে। রাজ্য জানিয়েছে, গ্রিন জোনের জেলায় মদের দোকান খোলা যেতে পারে। রেড জোনে তা সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে হবে। তবে, অরেঞ্জ জোন নিয়ে মমতা সরকার এখনও কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি। গত ২৫ মার্চ থেকে রাজ্যব্যাপী মদের দোকান বন্ধ রয়েছে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন