Advertisment

দুর্বিসহ অবস্থা, কোনওমতে বাসেই ঠাঁই জোশীমঠে আটকে পড়া বাঙালি পর্যটকদের

উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের আগড়দা পুরুষোত্তমপুর গ্রামের সাত পর্বতারোহীর পরিবারের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Bengali tourists from Hooghly have to stay in bus at Uttarakhand

উত্তরাখণ্ডে আটকে পড়া পর্যটকরা। ছবি- উত্তম দত্ত

প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে তছনছ অবস্থা উত্তরাখণ্ডের। একাধিক এলাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক। দিশেহারা অবস্থা হুগলির কোন্নগর ও হিন্দমোটরের চার পরিবারের। এবার পুজোর ছুটিতে কেদারনাথ বেড়াতে গিয়েছিলেন কোন্নগর, হিন্দমোটরের ১২ জন। কিন্তু আনন্দ পর্যবসিত হয়েছে চরম শঙ্কায়। বর্তমানে জোশীমঠে আটকে তাঁরা। হোটেলের ঘর ফাঁকা না পেয়ে দিন কাটছে বাসের মধ্যে।

Advertisment

অষ্টমীর সকালে হাওড়া থেকে হরিদ্বার স্পেশাল ট্রেনে করে হরিদ্বার পৌঁছান কোন্নগর ও হিন্দমোটরের চার পরিবারের ১২ জন। পর দিন অর্থাথ গত বৃহস্পতিবার দিন নবমীর সকালে সীতাপুর ঘুরে শনিবার দিন বদ্রিনাথের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তাঁরা। কিন্তু মাঝপথে ধসে আটকে পড়েন এঁরা। সময় যত এগোচ্ছে দুর্বিসহ অবস্থা তত গাঢ় হচ্ছে। অমিল খাবার। ভর্তি হোটেলের ঘর, কোনও মতে বাসের মধ্যে থাকতে হচ্ছে। ফলে প্রতি পদে বিপদের ঝুঁকি। চরম সঙ্কটে দিন কাটছে। এই অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য প্রসাসনের কাছে সাহায্য প্রার্থী কোন্নগর ও হিন্দমোটরের এই পরিবারগুলি।

এদিকে, উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের আগড়দা পুরুষোত্তমপুর গ্রামের সাত পর্বতারোহীর পরিবারের। ট্রেকিংয়ের নেশায় উত্তরাখণ্ডে গিয়েছিলেন বাঁকুড়ার ওন্দার সাত পর্বতারোহী। কিন্তু, গত রবিবারের পর থেকে বিগত তিনদিন ওই সাত জনের সঙ্গে কোনওভাবেই যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। এই সাতজন হলেন সবুজ বরণ মন্ডল, অরণ্য দেব মন্ডল, পুষ্পেন মন্ডল, বিকাশ রায়, ত্রিপুরারি কুন্ডু, মৃত্যুঞ্জয় পাল ও অন্বেষা সিং পাল। এর মধ্যে বিকাশ রায় ছাড়া প্রত্যেকেই পেশায় শিক্ষক। বিকাস পেশায় রাজ্য সরকারি কর্মচারী।

খবর জানাজানি হতেই জেলা পুলিশের তরফে পরিবারগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Uttarakhand West Bengal Hooghly Uttarakhand disaster
Advertisment