Bengaluru Cafe Blast Tensions Between TMC-BJP- বেঙ্গালুরুর ক্যাফেতে নিউ দিঘার হোটেল থেকে ২ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। এনআইএ-র সঙ্গে যৌথ অভিযান চালিয়েই এই সাফল্য বলে দাবি রাজ্য পুলিশের। আর সেই ঘটনাকে ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি নেতা অমিত মালব্য রাজ্যকে নিশানা করেছে। পালটা সরব তৃণমূল।
এক সংবাদ সংস্থার তরফে জানানো হয় যে, আজ ১২ এপ্রিল ভোরে এনআইএ কলকাতায় পলাতক অভিযুক্ত আবদুল মতিন ত্বহা এবং মুসাভির হুসেন শাজেবের খোঁজ পেয়েছে। মিথ্যা পরিচয়ে তারা লুকিয়ে ছিল। এক্ষেত্রে এনআইএ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এবং পশ্চিমবঙ্গ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক এবং কেরালার রাজ্য পুলিশ সংস্থাগুলির সহযোগিতা পেয়েছে বলেও পোস্টে উল্লেখ করা হয়।
এরপরই বিজেপি নেতা অমিত মালব্য এই ঘটনায় রাজ্যকে নিশানা করেন। এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে তিনি লেখেন, 'এমআইএ রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণে দুই প্রধান সন্দেহভাজন মুসাফির হুসেন শাজেব ও তার সহযোগী আবদুল মতিন আহমেদ ত্বহাকে কলকাতা থেকে আটক করেছে। দু'জনেই কর্ণাটকের শিবামোজ্ঞায় আইএসআইএস-এর সঙ্গে যুক্ত। দুর্ভাগ্যবশত পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গিদের নিরাপদ স্বর্গ হয়ে উঠেছে।'
আরও পড়ুন- Mamata Banerjee: বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণে ২ সন্দেহভাজন গ্রেফতার বাংলায়, মুখ খুলেই কাকে নিশানা মমতার?
বিজেপি নেতার ওই দাবি পাল্টা এক্স হ্যান্ডেলে নস্যাৎ করে রাজ্য পুলিশ। ওই অভিযানে রাজ্য পুলিশ সামলি ছিল বলেও দাবি করা হয়। এই বিষয়ে এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে অমিত মালব্যকে ট্যাগ করে রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে, 'আসল বিষয় হল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে যৌথ অভিযানে যুক্ত হয়ে পূর্ব মেদিনীপুর থেকে রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণ মামলায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছে।'
এরপরেই কুণাল ঘোষ ট্যুইট করে দাবি করেন যে, 'এনআইএ- কেও মানতে হল রাজ্য পুলিশের সক্রিয় সহযোগিতার কথা।বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণে জড়িতদের গ্রেফতারে রাজ্য পুলিশের সহযোগিতার উল্লেখ করেছে এনআইএ। কাঁথি থেকে পাকড়াও করা হয়েছে দুই জঙ্গিকে। সবাই জানে সেখানে কোন পরিবার দুষ্কৃতীদের আনে, আশ্রয় দেয়। এসবে তাদের ভূমিকার তদন্ত হোক। বাংলার পুলিশ দেশবিরোধী অশুভ শক্তিকে দমন করতে অবিচল এবং অন্য এজেন্সিকে সহযোগিতা করতেও প্রস্তুত, আবার প্রমাণিত।'