‘ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা…’! আজ ভাইফোঁটা। গোটা রাজ্য জুড়ে আজ ভাই-বোনের বন্ধন উদযাপনের দিন। রাজনৈতিক নেতা, সেলেব থেকে সাধারণ মানুষ, সবার ঘরেই উৎসবের মেজাজ। পঞ্জিকা মতে ২৬ অক্টোবর (বাংলা ৯ কার্তিক) বৃহস্পতিবার দুপুর ২টে ৪৩ মিনিট থেকে বৃহস্পতিবার ২৭ অক্টোবর (বাংলা ১০ কার্তিক) দুপুর ১২টে ৪৬ মিনিট পর্যন্ত ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার উৎসব পালন করা যাবে। ভাইফোঁটার সকাল থেকেই বাজারে- মিষ্টির দোকানে লম্বা লাইনের সারি। হরেক রকম মিষ্টিতে বাজিমাত করতে আসরে নেমে গিয়েছে এই মিষ্টির দোকানগুলোও। ট্রাডিশ্যানাল মিষ্টির পাশাপাশি থিমের মিষ্টির চমকে চোখ ধাধিয়ে যাওয়ার জো!
ভাই এবং বোনের মধ্যে একটি মিষ্টি সম্পর্ক ঘিরে পালন করা হয় ভাইফোঁটা। একই সঙ্গে বোনেরা তাদের ভাইয়ের মঙ্গলের জন্য ফোঁটা দেয়। প্রার্থনা করা হয় । আর এমন একটা শুভদিনে মিষ্টিমুখ চাই’ই। বাঙালি মানেই মিষ্টিপ্রেমি। তবে একঘেয়ে মিষ্টি নয়, হরেক রকমের নানান মিষ্টির পসরা সাজিয়েছেন মিষ্টির দোকানীরা। আর থিমের মিষ্টির নজর কাড়া চমকে মজে তামাম বাঙালি।
শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণ, জেলা থেকে তিলোত্তমা, মিষ্টির দোকানের বাইরে লম্বা লাইন। ভিড়ের কথা মাথায় রেখে বেশিরভাগ দোকানের বাইরে তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী ছাউনিও। সেখানেও পছন্দমতো মিষ্টি বেছে নিচ্ছেন ক্রেতারা। দীর্ঘক্ষণ লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে মিষ্টি কেনার হিড়িক ‘হুজুকে বাঙালির’।
আরও পড়ুন : < ছটপুজোর আয়োজনে দিশেহারা! প্রশাসনের কাছে সাহায্যের আর্জি মদন দত্ত লেনের ঘরছাড়াদের >
অন্য দিকে,আজকে ভাইফোঁটার দিনে মাছ-মাংস থেকে সবজির চড়া দামে নাজেহাল অবস্থা মধ্যবিত্ত বাঙ্গালির। কিন্তু খাওয়াদাওয়ার এলাহি আয়োজনে খামতি রাখতে নারাজ সকলেই! আজ সকাল থেকে মিষ্টির দোকানের পাশাপাশি পাঁঠার মাংসের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় যথেষ্ট। পাশাপাশি বাজারেও ধরা পড়েছে ভিড়ের ছবি। ভাইফোঁটার উৎসব ঘিরে বাঙালিদের মধ্যে এক সর্বদাই এক আলাদা আমেজ থাকে। আর উৎসব মানেই জমিয়ে খাওয়া দাওয়া, ভাইফোঁটার দিনে ভাইয়ের পাতে এক টুকরো ইলিশ থাকবে তা কী হয়!
এক কেজি পর্যন্ত ইলিশের দাম আজ শহরের একাধিক বাজারে ঘোরাফেরা করছে ১২০০-১৫০০ টাকার মধ্যে। ইলিশের ওজন দেড় কেজির বেশি হলে দাম ঘোরাফেরা করছে ১৮০০-২০০০ এর মধ্যে। পাশাপাশি ভেটকি ৫০০- ৬০০, পারশে ৪৫০-৬০০, পাবদা -৬০০-৭০০ , তোপসে ৭০০-৮০০, টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম যতই চড়া হোক, ভাইয়ের পাতে পছন্দের মেনু তুলে দিতে কোন খামতি রাখতে চাইছেন না ‘খাদ্য রসিক’ বাঙালি।