পঞ্চায়েত ভোট শেষ, ফলাফলও প্রকাশিত। কিন্তু ভাঙড়ে অশান্তি থামার লক্ষ্মণ নেই। বৃহস্পতিবার ভাঙড়ে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে। বোমা বাঁধতে গিয়ে কাশীপুর থানা এলাকার চকমরিচা গ্রামে এই বিস্ফোরণ হয় বলে জানা গিয়েছে।বিস্ফোরণ বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে। বীভৎসভাবে পুড়ে গিয়েছেন বেশ কয়েকজনের। আহতদের চারজনকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও গাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। বেশ কয়েকজন আহতকে চিত্তরঞ্জনেও নিয়ে যাওয়া হয়।
পঞ্চায়েত নির্বাচনপর্বে ভাঙড়ে তৃণমূল ও আইএসএফ সংঘর্ষে তিনজন খুন হয়েছিলেন। ভোটের গণনার দিন কাঠালিয়া হাইস্কুলের বাইরে মুড়ি মুড়কির মতো বোমা পড়েছিল। মঙ্গলবার রাতে কাঁঠালিয়ায় তৃণমূল-আইএসএফের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। তাতেই মৃত্যু হয় ৩ জনের। বুধবার থেকে ভাঙড়ের বিস্তীর্ণ এলাকায় জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। টহল দিচ্ছে আধাসেনা। তার মধ্যেই চলছিল বোমা বাঁধার কাজ।
তৃণমূলের অভিযোগ, আহতরা আইএসএফ কর্মী। তাঁরাই বোমা বাঁধছিল বলে অভিযোগ শাসক দলের। তবে চকমরিচার কোনও বাসিন্দাই মুখ খুলতে নারাজ। অধিকাংশ বাড়িতে তালা ঝুলছে। যেন শ্মশানের নীরবতা।
আরও পড়ুন- বিজেপির প্রার্থী হয়েই কৌশলে ‘বাংলা ভাগ’ প্রসঙ্গ এড়াচ্ছেন অনন্ত মহারাজ, দেখাচ্ছেন সংবিধান
বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, 'আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। বোমাবারুদ বিহীন রাজনীতিই আমাদের লক্ষ্য। কী হয়েছে তা খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। আরও একটা বিষয় বলা হচ্ছে, বোমা বাঁধতে গিয়ে ঝলসে গিয়েছে। তা বাঁধতে গিয়ে ঝলসে গিয়েছে, নাকি বোমা মারা হয়েছে তাতে ঝলসেছে তাও দেখা দরকার।'
তৃণমূলের বিধায়ক তথা দলের তরফে ভাঙড়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা শওকত মোল্লা বলেছেন, 'চকমরিচা গ্রামে বোমা বাঁধতে গিয়ে ৩ জন আইএসএফ কর্মী আহত হয়েছে। গ্রামের লোকজন কাঁটাতলায় তাঁদের ধরে ফেলে। এরপর পুলিশের হাতে তুলে দেয়। চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে। পুলিশের কাছে আমার প্রশ্ন, কীভাবে আইএসএফের কর্মীরা এখনও বোমা বাঁধছে? আর কোথা থেকে উনি এত বোমা, বন্দুক সাপ্লাই পাচ্ছেন সেটাই প্রশ্ন রইল নওশাদ সিদ্দিকিকে?'