"লড়াই করে পেয়েছি যা, লড়াই করে রাখব তা।" ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রিড নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের শেষে এমনটাই জানালেন জমিকমিটির মুখপাত্র অলীক চক্রবর্তী।
নির্মীয়মাণ পাওয়ার গ্রিডের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে ফের। সে কাজ যাতে দ্রুত শুরু করা যায়, সে ব্য়াপারে নজর দিতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। সে কারণেই মমতার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সফর শেষ হওয়ার অব্যবহিত পরেই ভাঙড়ের আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সোমবার বৈঠকে বসেন প্রশাসনিক কর্তারা। বৈঠক গড়িয়ে যায় সন্ধের পর অবধি।
আরও পড়ুন, নতুন বছরে নতুন আদালতের মুখ চেয়ে মুর্শিদাবাদ
বৈঠক শেষে অলীক চক্রবর্তী বলেন, "চুক্তিতে যা বলা হয়েছে, তার সামান্যতম এদিক ওদিক করা চলবে না।" এদিনের আলোচনায় অলীক ছাড়াও হাজির হয়েছিলেন শর্মিষ্ঠা চৌধুরী, মির্জা হাসান সহ একাধিক নেতা-নেত্রীরা। প্রশাসনের তরফে বৈঠকে ছিলেক জেলা শাসক ওয়াই রত্নাকর রাও, অতিরিক্ত জেলা শাসক মৃণাল রাণো, বারুইপুর জেলার পুলিস সুপার অজয় প্রসাদ, কাশীপুরের পুলিস আধিকারিকরা এবং পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশনের আধিকারিকরা।
এদিনের বৈঠকে জমি কমিটির তরফ থেকে চুক্তিকে কতটুকু মান্যতা দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। হিমঘর, আলো, স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উন্নতি প্রভৃতি ব্যাপারে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়, চুক্তি রূপায়ণের কাজ ঠিক মত হলেই বিদ্যুত সাব স্টেশনের কাজও যথাযথ ভাবে হবে।
এদিকে প্রশাসনের তরফে বলা হয়, ওই এলাকায় রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন হচ্ছে। জমি জরিপের কাজ ও গ্রামে আলো লাগানোর কাজও শুরু হয়েছে বলে প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। তাঁরা বলেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উন্নয়নের কাজও শুরু হয়ে যাবে। হিমঘরের জন্য জমি দেখা হচ্ছে, সেখানে হমঘর তৈরিও হবে বলে বৈঠকে জানান প্রশাসনিক কর্তারা।
বৈঠক শেষে অলীক চক্রবর্তী জানান, "আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। চুক্তি রূপায়ণের বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়ে অলীক বলেন, তবে এখনই খুঁটি পোঁতা এবং বিদ্যুত সংযোগের বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। কয়েকদিনের মধ্যেই জমি কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।"
জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও বলেন, "উন্নয়ন নিয়ে ওঁদের কিছু প্রশ্ন ছিল। বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। উন্নয়নের কাজ এবং পাওয়ার গ্রিডের কাজ দুই-ই একসঙ্গে চলবে।"