অশান্তির রেশ কাটিয়ে ভাঙড় জোরকদমে শুরু হয়েছে বিদ্যুৎ প্রকল্পের টাওয়ার তৈরির কাজ। শান্তিপূর্ণভাবেই সেই কাজ চলছে। সাব স্টেশনের ভিতরে যন্ত্রপাতি বসানোর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। সাব স্টেশনের পিছন দিকে ধানের খেতে মাটি কেটে খুঁটি বসানোর জন্য সিমেন্টের পিলার তৈরির কাজ চলছে। শ্রমিকরা নির্বিঘ্নেই কাজ করছেন। পুজোর পরে এই কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। এবার কাজ শুরু হয়েছে।
মাছিভাঙা, খামারআইট সহ কয়েকটি গ্রামের উপর দিয়ে ৪ টি খুঁটি পোতার কাজ হবে। প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রথমে ৩ টি খুঁটি পোতার কাজ শুরু করা হচ্ছে। পরে আরও একটি খুঁটি পোতা এবং একটি পুরানো খুঁটিকে মেরামতির কাজ করা হবে। মোটামুটিভাবে সম্পূর্ণ কাজ শেষ করতে ৩ মাসের মত সময় লাগবে বলে ধরা হয়েছে। বিদ্যুৎ সাব স্টেশন এলাকার চারিদিকে এখনো মাঠে জল জমে রয়েছে। তার মধ্যেই বিদ্যুৎ সাব স্টেশনের পিছনের দিকে খুঁটি পোতার জন্য বেস তৈরির কাজ চলছে। চারিদিকে সিমেন্টের দিয়ে ঘিরে বিদ্যুতের খুঁটির জন্য সিমেন্টের পিলার তৈরির কাজ চলছে। প্রশাসনের তরফে খবর, কয়েকটি গ্রামের উপর দিয়ে টানা হবে ৪০০ কেভির লাইন। মাটির মধ্যে দিয়ে টানা হবে ২২০ কেভির লাইন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার অতিরিক্ত জেলা শাসক মৃণাল রানো জানান, যত দ্রুত সম্ভব ভিতরের এবং বাইরের কাজ শেষ করে ওই বিদ্যুৎ সাব স্টেশনকে চালু করার দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের আশা আগামী বছরের প্রথম দিকেই ভাঙড়ের এই বিদ্যুৎ সাব স্টেশন হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, বছর দেড়েকের রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের জেরে অনিশ্চিত হয়ে পড়ে ভাঙড়ের পাওয়ার গ্রিডের কাজ। এর পর আন্দোলনকারী এবং প্রশাসনের দফায় দফায় আলোচনায় জট মুক্ত হয় ভাঙড়ের কয়েকশো কোটির বিদ্যুৎ প্রকল্প। যদিও আন্দোলনকারীদের দাবি মতন পাওয়ার গ্রিড থেকে সরে এসে আঞ্চলিক সব ষ্টেশন করতে সম্মত হন প্রশাসনিক কর্তারা। সেই মতন ক্ষতিপূরণ সহ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এ বিষয়ে জমি কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মির্জা হাসান বলেন, "প্রশাসনের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রিডের পরিবর্তে আঞ্চলিক সাব স্টেশন এর কাজ চলছে এখন টাওয়ার তৈরির কাজ চলছে, আমরা সর্বদাই কাজের উপরে নজর রেখেছি।"