ভাঙড়ের তৃণণূল নেতা আরাবুল ইসলামের ছেলে হাকিমুল ইসলামকে নিরাপত্তা দিল রাজ্য সরকার। হাকিমুলের নিরাপত্তায় সশস্ত্র এক জন পুলিশকর্মী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দায়িত্বে থাকা স্বরাষ্ট্র দফতর। হাকিমুলের সঙ্গেই তৃণমূল নেতা খইরুল ইসলাম এবং আহসান মোল্লাও পাচ্ছেন এক জন করে নিরাপত্তারক্ষী। তাঁদের সঙ্গে সবসময় সশস্ত্র এক জন নিরাপত্তারক্ষী থাকবে।
সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত ভোটে বারংবার তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে ভাঙড়ে। ভোট মিলটেও হিংসা মেটেনি। প্রায়ই একে অপরকে নিশানা করেছে এই দুই দলবের নেতারা। অভিযোগ, কখনও সরাসরি, কখনও আড়াল থেকে ভেসে আসছে প্রাণনাশের মতো হুমকি। ফলে রাজ্যের কাছে নিরাপত্তার আবেদন করেছিলেন আরাবুল-পুত্র হাকিমুল। সেসব বিবেচনা করে তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়া হল বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
নিরাপত্তার পাওয়ার খবর শোনার পর আরাবুল ইসলামের ছেলে হাকিমুল বলেছেন, 'প্রকাশ্য সভা থেকে আমাকে, আমার বাবা আরাবুল ইসলাম ও বিধায়ক শওকত মোল্লাকে একাধিকবার প্রাণে মারার হুমকি দিচ্ছে আইএসএফ নেতারা। প্রশাসনকে সে কথা জানিয়েছিলাম। নিরাপত্তার ব্যবস্থা করায় আমরা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।'
পঞ্চায়েত ভোটে ভাঙড়ে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা বঙ্গবাসীকে নড়িয়ে দিয়েছে। উত্তেজনা এখনও জারি রয়েছে। সংঘর্ষ ঘটেই চলেছে। প্রায়ই একে অপরকে নিশানা করছে তৃণমূল ও আইএসএফ। পঞ্চায়েতের ফলাফল থেকেই স্পষ্ট যে ওই অঞ্চলে দাপট বেড়েছে নওশাদ সিদ্দিকিদের। আরাবুল ইসলামের খাসতালুকের পঞ্চায়েতেই হেরেছে শাসক দল। আগামী বছর লোকসভা ভোট রয়েছে। যাদবপুর লোকসভার অন্তর্গত ভাঙড়ে ২০১৯ সালে বিশাল ভোট পেয়েছিল তৃণমূলের প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী। ওই কেন্দ্রে জয় পেতে এবারও ভাঙড়ের ভোট নির্ণায়ক হতে পারে। এই অবস্থায় তৃণমূল নেতা আরাবুলের ছেলে হাকিমুলকে নিরাপত্তা দেওয়া বিশেষ তাৎপর্যবাহী।