'ভানু পেল লটারী', রূপোলি পর্দার এ গল্পের সঙ্গে বাঙালির পরিচয় ঘটেছিল গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকে। আর সেই ভানু'ই এবার বাস্তবে লটারি পেয়ে কোটিপতি। মানিকচকের বাসিন্দা ভানু মণ্ডল ৩০ টাকায় লটারির টিকিট কেটে রাতারাতি হয়ে গেলেন কোটিপতি!
রাস্তার ধারে ডালপুরি বিক্রি করেই চলে ভানু মণ্ডলের সংসার। দিনে ৩০০-৪০০ টাকা রোজগার করতে হিমশিম খেতে হয় ভানু'কে। কিন্তু তার মধ্যেই কষ্ট লাঘবে স্বপ্ন দেখতেন কোটিপতি হওয়ার। শখের বশেই মাধেমধ্যে কাটতেন লটারির টিকিট। সেইরকমই এবারও ৩০ টাকা দিয়েই কাটেছিলেন ডিয়ার লটারি সাপ্তাহিক টিকিট। আর তাতেই কেল্লাফতে। নুন আনতে পান্তা ফোরানো ভানু এখন কোটিপতি!
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মানিকচক ব্লকের মথুরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ফতেনগর গ্রামের বাসিন্দা ভানু মণ্ডল। বয়স আনুমানিক ৪০ বছর। গত ২৩ অগাস্ট মথুরাপুর স্ট্যান্ডের কাছে এক বিক্রেতার কাছ থেকে ৩০ টাকা ধারে লটারির একটি টিকিট কেটেছিলেন ভানুবাবু। তাতেই বাজিমাত হয়েছে।
বিশাল অঙ্কের লটারি জেতায় দারুন খুশি ভানু। তিনি বলেন, 'বুধবার সকালে আমাদের এখনকার একজন লটারি বিক্রেতা আমাকে জোর করে টিকিট দিয়ে দেয়। তখন পকেটে টাকা না থাকায় বাকিতেই টিকিট কিনেছিলাম। দুপুর একটা নাগাদ ফল প্রকাশের সময় জানতে পারি আমি ১ কোটি টাকার পুরস্কার জিতেছি।' কোটি টাকা নিয়ে কী করবেন? ভানু মণ্ডলের কথায়, 'আমার ও আমার স্ত্রী'র অনেক স্বপ্ন। এত দিন অভাবের কারণে সেই সব স্বপ্নপূরণ হয়নি। এবার জেতা টাকায় আমাদের জন্য সুন্দর একটা বাড়ি বানাবো। সন্তানদের ভবিষ্যৎ গড়বো।'