Bharat Bandh Today, 8th January 2020 Updates: মালদার সুজাপুরের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। পুলিশ ও তৃণমূলের গুন্ডারা হামলা চালিয়েছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিম। এ প্রসঙ্গে এদিন সেলিম বলেন, ‘‘যোগীর পুলিশ যা করছে, এ রাজ্যে মমতার পুলিশও সেই এক কাজ করছে। যোগীর পুলিশ উত্তরপ্রদেশে গাড়ি ভাঙচুর করেছে, দোকানপাট ভাঙচুর চালিয়েছে, আর আজ মালদায় সুজাপুরে মমতার পুলিশ গাড়ি ভাঙচুর করেছে’’। উল্লেখ্য, এদিন বনধ ঘিরে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে মালদার সুজাপুর। ৩৪নং জাতীয় সড়কে অবরোধ তুলতে গিয়ে ধর্মঘটীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক ধস্তাধস্তি বাধে। এরপরই পুলিশকে লক্ষ করে ইট ছোড়ার অভিযোগ ওঠে বনধ সমর্থনকারীদের বিরুদ্ধে। এর জেরে এক পুলিশকর্মীর মাথা ফেটে যায় বলে খবর। পরিস্থিতি সামলাতে লাঠি চালায় পুলিশ। ধর্মঘটীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ, শূন্যে গুলি ছোড়ে। পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
বনধ ধিরে যাদবপুরে ধুন্ধুমার বাধে। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় সুজন চক্রবর্তী-সহ বাম নেতাদের। রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান ধর্মঘটীরা। সূত্রের খবর, পুলিশের হাতে আটক করা হয়েছে সুজন চক্রবর্তীকে। এর আগে, মৌলালিতে পুলিশের সঙ্গে বনধ সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি বাধল। মল্লিকবাজারে রাস্তায় বসে অবরোধ বনধ সমর্থনকারীদের। এদিন সকাল থেকেই কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় মিছিল শামিল হয়েছে বামেরা। বনধের সমর্থনে মিছিলে এদিন হাঁটতে দেখা গেল বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রকে।
কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকে ২৪ ঘণ্টার ভারত বনধে সকাল থেকেই হাওড়া ও শিয়ালদা শাখায় ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হয়েছে। সকাল থেকে রাস্তায় বাসের সংখ্যা অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক কম। সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ যাত্রীসংখ্যাও কম। সকাল থেকেই কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। শহরের রাস্তায় রাস্তায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বনধের জেরে এদিন সকাল থেকেই চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা।
Live Blog
Bharat Bandh Today Updates: ভারত বনধে কেমন প্রভাব পড়েছে কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গে? সব আপডেট এখানে, Follow the Updates here:
মল্লিকবাজারে রাস্তায় বসে অবরোধ বনধ সমর্থনকারীদের। ছবি: শশী ঘোষ।
বনধ ঘিরে উত্তপ্ত কলকাতা। মৌলালিতে পুলিশের সঙ্গে বনধ সমর্থনকারীদের হাতাহাতির খবর মিলেছে। কলেজ স্ট্রিটে অবরোধে শামিল বামেরা। এলবাকায় মোতায়েন প্রচুর পুলিশ। কলকাতায় বাসের সংখ্যা অন্যান্য দিনের তুলনায় কম, যাত্রীসংখ্যাও কম। সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন দোকানপাট কার্যত বন্ধ। ছবি: শশী ঘোষ।
অন্যান্য দিন যেখানে ৯০০রাজ্য সরকারি বাস পথে চলে সেখানে আজ চলবে ১,১৫০টি। দক্ষিণবঙ্গ পরিবহণ নিগমের তরফে থাকবে ৮২৬ বাস। অন্যান্য দিনে যে সংখ্যা থাকে ৬৯২টি। উত্তরবঙ্গ পরিবহণ নিগম ৬০৫টির বদলে পথে নামাবে ৬৫৫টি বাস। এছাড়াও শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘রাজ্যে নথিভিক্ত সব যানবাহনই বনধে বিমার আওতাধীন।’ বনধে কোন যান ক্ষতিগ্রস্থ হলে তার ২৪ ঘন্টার মধ্যে থানায় অভিযোগ জানাতে হবে। সেক্ষেত্রে ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ মিলবে।
ভাইপোকে বাঁচাতে, আর্থিক কেলেঙ্কারিকে ধামাচাপা দিতে আজকের ধর্মঘটে দালালি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমন বিস্ফোরক অভিযোগই করলেন সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য তথা প্রাক্তন সাংসদ মহম্মদ সেলিম। মমতাকে চড়া সুরে আক্রমণ করে বুধবার বিকালে সেলিম বলেন, ‘‘গোটা দেশে মোদী-শাহ যা করছেন, মমতাও তাই করছেন। মমতা ও দিলীপের সুর এক’’। একইসঙ্গে বাংলায় বনধে বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুষে সেলিম বলেন, ‘‘মমতা প্ররোচনা দিয়েছেন। তারপরই তৃণমূলের গুন্ডা ও পুলিশ হামলা চালিয়েছে। কিন্তু, গোটা রাজ্যে তা করতে পারেনি। এতে প্রমাণিত হয়েছে যে সব জায়গায় মমতার দাপট চলে না’’। বিস্তারিত পড়ুন
মালদার সুজাপুরের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। পুলিশ ও তৃণমূলের গুন্ডারা হামলা চালিয়েছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিম। এ প্রসঙ্গে এদিন সেলিম বলেন, ‘‘যোগীর পুলিশ যা করছে, এ রাজ্যে মমতার পুলিশও সেই এক কাজ করছে। যোগীর পুলিশ উত্তরপ্রদেশে গাড়ি ভাঙচুর করেছে, দোকানপাট ভাঙচুর চালিয়েছে, আর আজ মালদায় সুজাপুরে মমতার পুলিশ গাড়ি ভাঙচুর করেছে’’।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন মহম্মদ সেলিম। এদিন সিপিএম নেতা বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্ররোচনা দিয়েছেন। তারপরই পুলিশ ও তৃণমূল গুন্ডারা হামলা চালিয়েছে’’।
বনধ ঘিরে রমক্ষেত্রের চেহারা নিল মালদার সুজাপুর। ৩৪নং জাতীয় সড়কে অবরোধ তুলতে গিয়ে ধর্মঘটীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক ধস্তাধস্তি বাধে। এরপরই পুলিশকে লক্ষ করে ইট ছোড়ার অভিযোগ ওঠে বনধ সমর্থনকারীদের বিরুদ্ধে। এর জেরে এক পুলিশকর্মীর মাথা ফেটে যায় বলে খবর। পরিস্থিতি সামলাতে লাঠি চালায় পুলিশ। ধর্মঘটীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ, শূন্যে গুলি ছোড়ে। পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
বনধের প্রভাব পড়ল কলকাতার সোনার দোকানে। বউবাজারে বন্ধ সোনার দোকান। নিজস্ব ছবি।
বনধ বিরোধিতায় মমতা এদিন বলেন, ‘‘দেশের অর্থনীতির কথা মাথায় রাখা উচিত। একেই মানুষের আয় কমেছে। কোথায় সাধারণ মানুষকে সাহায্য করবে, সাধারণের সবথেকে কষ্ট হয় বনধে। কেন আজকে দেশের ক্ষতি করছে। ইস্যুকে সমর্থন করি। তার জন্য শান্তিপূর্ণ পথে আন্দোলন করতে হবে। গায়ের জোরে বনধ বাংলায় হবে না। প্রত্যেক বনধেও ব্যর্থ হচ্ছে তা সত্ত্বেও বছরে ৪টে বনধ ডাকছে। বনধ করে ভাবে সস্তায় পাবলিসিটি পাবে। আন্দোলনের নামে গুন্ডামি বন্ধ করুন। এমন করেই দলটা সাইনবোর্ডে পরিণত হয়েছে। ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে। ৩৪ বছরে একে তো করেনি কিছু। উন্নয়নকে সহ্য করতে পারছে না’’। বিস্তারিত পড়ুন
বনধ ধিরে যাদবপুরে ধুন্ধুমার। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি সুজন চক্রবর্তী-সহ বাম নেতাদের। রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ। সূত্রের খবর, পুলিশের হাতে আটক করা হয়েছে সুজন চক্রবর্তীকে।
বনধের সমর্থনে ধর্মতলায় মিছিল এসইউসিআই-এর। ছবি: পার্থ পাল।