ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ দলের। হুমায়ুন কবিরকে শোকজ করেছে তৃণমূল। শনিবার সকালেই দলের তরফে শোকজ়ের চিঠি বিধায়কের বাড়িতে পৌঁছেছে। তৃণমূল সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচনে দল বিরোধী কাজের অভিযোগে তাঁকে শোকজ নোটিস ধরানো হয়েছে।
পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী মোনয়ন ও নির্দল হিসাবে অনুগামীদের দাঁড় করানো নিয়ে দলের বিধায়ক হুমায়ুন কবিরের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে অস্বস্তি বাড়াচ্ছিল শাসক দলের। পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকেই হুমায়ুনের অন্য সুর ধরা পড়েছে। যা নিয়ে গত বৃহস্পতিবার বিধানসভার অন্দরে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। হুমায়ুন কবিরের নাম না করলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন 'মুর্শিদাবাদ জেলার রেজিনগরে আমাদের দলের এক জন আছেন, যিনি মাঝেমধ্যেই হুঙ্কার দেন। গুন্ডামি করেন। আমাদের দলে থাকলেও কিন্তু তাঁর কাজকর্মকে সমর্থন করি না।'
জানা গিয়েছে, তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির সাক্ষরিত লেটারহেডে শোকজ নোটিস বিধায়ক হুমায়ুনের বাড়িতে পৌঁচলে তাঁর ছেলে তা সংগ্রহ করেন।
আরও পড়ুন- পদ খোয়ালেও চর্চায় দিলীপ! ফিরছেন বঙ্গ রাজনীতিতেই? নাকি ঠাঁই মন্ত্রিসভায়?
শোকজ নোটিস প্রসঙ্গে ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক মুখ খুলেছেন। হুমায়ুন কবির বলেন, 'তৃণমূল নেত্রীকে দেখে নতুন করে ২০২০ সালে অনেক তিক্ততা ভুলে আবার আমি তৃণমূলের কাছে অঙ্গীকার করেছিলাম। বলেছিলাম, আমাকে দল করার সুযোগ দেওয়া হোক। নেতৃত্বও আমাকে দল করার সুযোগ দিয়েছে। নিজের এলাকায় না দিলেও পাশের বিধানসভায় প্রতীক নিয়ে লড়াইয়ের সুযোগ দিয়েছে। আমাকে ৭ দিনের মধ্যে দল জবাবদিহি করতে বলেছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই দলকে জবাব দেব। তার পর দল যা সিদ্ধান্ত নেবে দেখবো। আশা করি শোকজের উত্তরে নেতৃত্বের আস্থা অর্জন করতে পারবো।'
আর যদি নেতৃত্বের বিরাগভাজন হন তিনি? তৃণমূল বিধায়কের অকপট জবাব,'ন্যায়-নীতি, বিবেক বিক্রি করে মুখ্যমন্ত্রী কেন, কারও চাটুকারিতা করব না। আমি তৃণমূল ছাড়ছি না। কিন্তু দল যদি আমায় বহিষ্কার করে, সিপিএম, কংগ্রেস বা আইএসএফে নয়, নতুন দল তৈরি করে বুঝিয়ে দেব যে, আমার সঙ্গে মানুষ আছে।'