ভবানীপুরে গুজরাটি দম্পতির নৃশংস খুনের ঘটনার দুদিন পর নিহতদের বাড়িতে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার উত্তরবঙ্গ সফর শেষ করে কলকাতায় চলে আসেন মমতা। তার পর নিউটাউনে একটি অনুষ্ঠান সেরে আসেন ভবানীপুরে।
তাঁর সঙ্গে ছিলেন কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েল, মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং স্থানীয় কাউন্সিলর কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। নিহত শাহ দম্পতির বাড়িতে এসে মমতার কড়া বার্তা, “ভবানীপুর এলাকা শান্ত ছিল, শান্তই থাকবে। এখানে এই ধরনের ঘটনা বরদাস্ত করব না। পুলিশের তদন্ত অনেকটাই এগিয়েছে। শীঘ্রই কালপ্রিটরা ধরা পড়বে।”
সাংবাদিকদের মমতা বলেন, “ব্যক্তিগত শত্রুতা থেকে খুন করা হয়েছে বলে তথ্য পুলিশের হাতে এসেছে। পুলিশ সব তথ্য় খতিয়ে দেখছে। যেহেতু মামলাটি তদন্ত চলছে তাই এ নিয়ে এখনই মন্তব্য করব না। খুব শীঘ্রই দোষী শাস্তি পাবে। পরিচতি লোকেরাও যদি এটা করে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে স্ট্রং অ্যাকশন নেওয়া হবে। পরিবারের পাশে আমাদের থাকতে হবে।”
এদিন কমিশনরা বিনীত গোয়েল বলেন, “সব কিছু তদন্ত হচ্ছে। সিসিটিভি ফুটেজ-সহ সব কিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর থেকে বেশি এখনই কিছু বলা যাবে না। বাকিটা তদন্ত শেষ হলে বলা যাবে। শীঘ্রই দোষীরা ধরা পড়বে।” এর পরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “তদন্ত এখনও শেষ হয়নি, তাই এর বেশি কিছু বলা যাবে না। আমিও বলতে পারব না। তবে খুনের তদন্ত ৯৯ শতাংশ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। শীঘ্রই কিনারা হবে।”
আরও পড়ুন মানবিক ঘোষণা মমতার, হাত কাটা পড়লেও সরকারি চাকরি পাবেন রেণু
মুখ্যমন্ত্রী এদিন কড়া ভাষায় বলেন, “ভবানীপুরে এ ধরনের ঘটনা বরদাস্ত করব না। ভবানীপুরে এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি। ভবানীপুর শান্ত ছিল, শান্তই থাকবে। এখানে এই ধরনের ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না।”
আরও পড়ুন একেবারে ভিন্ন মেজাজে মমতা, মহা-আনন্দে নাচলেন ধামসা-মাদলের তালে
উল্লেখ্য, সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় ওই শাহ দম্পতির নৃশংস হত্যা হয়। তাঁদের তিন মেয়ের মধ্যে দুজনের সঙ্গে সেদি রাতেই ফোনে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের পুলিশের তদন্তের উপর আস্থা রাখতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর নিজের পাড়ায় এমন কড়া নিরাপত্তা বলয়ে মোড়া এলাকায় দিনেদুপুরে জোড়া খুনের ঘটনায় পুলিশ-প্রশাসনকে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।