নতুন দল গড়ে পঞ্চায়েতে ২৫ আসনে প্রার্থী দিল সাড়া ভারত আর্য মহাসভা। বুধবার বীরভূমের নলহাটি ২ নম্বর ব্লকে মনোনয়ন জমা দেন আর্য মহাসভার প্রার্থীরা। বৃহস্পতিবার মনোনয়ের শেষ দিন। এদিনও সাড়া ভারত আর্য মহাসভার বেশ কয়েকজন প্রার্থী মনোনয়ন জমা করতে পারেন বলে খবর। দলের প্রার্থীদের মনোনয়ন জমার সময় বিডিও দফতরে হাজির ছিলেন সাড়া ভারত আর্য মহাসভার সর্বভারতীয় সভাপতি বিভাস চন্দ্র অধিকারী।
বিগত এক দশক ধরে তৃণমূলের নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা বিভাস চন্দ্র অধিকারী। ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের ভক্ত বিভাসবাবু গ্রামে বিশাল মন্দির নির্মাণ করেছেন। বাংলাদেশের হিমাইতপুর গ্রামে অনুকূল চন্দ্র ঠাকুরের জন্মভিটের আদলে মন্দির গড়ে কার্যত নলহাটির গ্রামের নামই বদলে দিয়েছেন। বর্তমানে কৃষ্ণপুর গ্রামে 'নব-হিমাইতপুর'নামেই পরিচিত বেশি। রাজনীতির থেকে ক্রমশ ধর্মেকর্মে মন দেওয়া বিভাস অধিকারী বেশ কিছুদিন ধরে তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব রেখে চলছিলেন। এরই মধ্যেই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম উঠে আসে বিভাসের। সিবিআই এবং ইডি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তল্লাশি চলেছে তাঁর কলকাতা ও বীরভূমের বাড়ি, ফ্ল্যাট ও আশ্রমে।
আরও পড়ুন- ১৪৪ ধারার গুষ্টির ষষ্ঠীপুজো! ভাঙড় বিডিও অফিস যেন তৃণমূলের পার্টি অফিস! ঢুকলেন আরাবুল
এরপরেই দলের সঙ্গে ক্রমশ দূরত্ব বজায়ের চেষ্টায় বিভাস অধিকারী। তিনি নতুন দল গড়ার সিদ্ধান্ত নেন। নাম দেন সাড়া ভারত আর্য মহাসভা। মাস দুয়েক আগে নিজের আশ্রমে নতুন দলের আনুষ্ঠানিক সূচনাও করেন। সেই দিনই জানিয়েছিলেন যে, তাঁর প্রতিষ্ঠিত দল পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়বে।
সেই মতো বুধবার ২৫ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন। কেন বিভাসের এই পদক্ষেপ? বিভাস অধিকারী বলেন, 'এখনকার নেতারা বলেন তাঁরা নাকি ধর্মনিরপেক্ষ। কিন্তু মনে রাখবেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীরা শপথ নেওয়ার সময় ধর্মগ্রন্থ হাতে নিয়ে শপথ নেন। আমাদের লক্ষ্য আর্য সমাজ গড়া। সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাব।'