কালীপুজোর আগে শব্দবাজির দৌরাত্ম্য ঠেকাতে তৎপর পুলিশ। বিধাননগর কমিশনারেট এলাকা থেকে ফের প্রচুর পরিমাণে নিষিদ্ধ শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ। গত কয়েকদিন ধরেই বিধাননগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রচুর পরিমাণে নিষিদ্ধ শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। নিষিদ্ধ বাজি কারবারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। ইলেক্ট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানা এলাকার নয়াপট্টি থেকে ৩০ কেজিরও বেশি নিষিদ্ধ শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে খবর। অন্যদিকে, নিষিদ্ধ শব্দবাজি বিক্রির অভিযোগে আরও ২ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধাননগর কমিশনারেট এলাকা থেকে রবিবার রাতে আরও এক ব্যক্তিকে পাকড়াও করা হয়েছে। নিষিদ্ধ বাজি বিক্রির অভিযোগে গতকাল রাত ৮.১৫ মিনিট নাগাদ বৈশাখী এলাকা থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। বাজি বিক্রির বৈধ নথি মেলেনি বলে দাবি পুলিশের। প্রায় ৩৫ কেটি নিষিদ্ধ বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ধৃত যুবকের নাম পূর্ণ দাস বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: তল্লাশি চালিয়ে খাস কলকাতা থেকে বাজেয়াপ্ত করা হল নিষিদ্ধ বাজি
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশি অভিযানে বিধাননবরের ইই ব্লক এলাকা থেকে আরেক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার রাত ৮.২৫ মিনিট নাগাদ নিষিদ্ধ বাজি বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে পলাশ দাসকে। প্রায় ২০ কেজি নিষিদ্ধ বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাঁর কাছ থেকে।
শনিবার সন্ধেবেলা বাঙ্গুর এলাকা থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় প্রায় ২৫ কেজি নিষিদ্ধ আতসবাজি। সুশান্ত বৈদ্য নামে বছর ৫৩-র এক ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় নিষিদ্ধ বাজি। কোথা থেকে এই ধরনের বাজি নিয়ে এসেছেন তার কোনো সঠিক তথ্যও দিতে পারেননি অভিযুক্ত। এর আগে নয়াপট্টি থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় প্রায় ৫০ কেজির শব্দবাজি। যার মধ্যে ছিল ৫০ টি অতিরিক্ত শব্দ উৎপাদন করা রকেট ও ১০ টি শেল। অভিযুক্ত আনন্দ চন্দ্রকে গ্রেফতার করেছে ইলেক্ট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ।