বর্ষশেষে বাংলার রাজনীতির আকাশে নক্ষত্রপতন। প্রয়াত রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত সাহা। রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানপালন দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ছিলেন সুব্রত সাহা। সাগরদিঘির বিধায়ক বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। মন্ত্রীর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বাংলার রাজনৈতিক মহল।
সুব্রতবাবুর প্রয়াণে আজ বৃহস্পতিবার রাজ্যের সব সরকারি দফতর বেলা ২টোর পর ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। সহকর্মীকে হারিয়ে শোকে ভেঙে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন টুইট করে শোকপ্রকাশ করেছেন মমতা। প্রসঙ্গত, হৃদরোগে আক্রান্ত হন সুব্রত। চিকিৎসার জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয় তাঁকে। ছিলেন সিসিইউ-তে। বেলা ১১টা নাগাদ প্রয়াত হন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে সাগরদিঘি থেকে তৃণমূলের টিকিটে জেতেন সুব্রত সাহা। সেবার কংগ্রেস-গড় মুর্শিদাবাদে একমাত্র তৃণমূল বিধায়ক হন সুব্রতবাবু। টানা তিনবার ওই কেন্দ্র থেকে জিতেছেন তিনি। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমেছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। একসময়ে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি।
আরও পড়ুন খড়্গপুরের পর কি কালনা? তৃণমূল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি নিয়ে ময়দানে দলীয় কাউন্সিলররা
মমতা এদিন টুইটে লেখেন, "খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানপালন দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রত সাহার প্রয়াণে আমি গভীর শোকপ্রকাশ করচি। তিনি আজ সকালে বহরমপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। সাগরদিঘির তিনবারের বিধায়ক সুব্রতবাবু পূর্ত দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন। সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি।"
মুখ্য়মন্ত্রী আরও লিখেছেন, "সুব্রতবাবুর সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের ব্য়ক্তিগত সম্পর্ক ছিল। তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক অবদান স্মরণীয় থাকবে। তাঁর প্রয়াণে রাজনৈতিক জগতে এক বিরাট শূন্যতার সৃষ্টি হল। আমি তাঁর পরিবার-পরিজন এবং অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।"