মঙ্গলবার সকালে হঠাৎই উত্তেজনা ছড়ায় ভাঙড়ে। সেখানে আন্দুলগড়িয়া এলাকায় আচমকাই সকালে খবর মেলে, একটি পাঁচিলঘেরা জমিতে পুড়ছে প্রচুর কাগজপত্র। শোরগোল পড়তেই সেখানে ছুটে যান সিবিআই আধিকারিকরা। রাজ্যে একের পর এক দুর্নীতির তদন্তে ছোটাছুটি করছেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির গোয়েন্দারা। আচমকা নথিপত্র পোড়ার খবর পেয়ে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পেয়ে তাঁরা ছুটে যান ভাঙড়ে।
কিন্তু সেই পোড়া নথিপত্র থেকে সামান্য কিছুই বাঁচাতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। পরে প্রাথমিক তদন্তে তাঁরা জানতে পেরেছেন, পুড়িয়ে ফেলা নথি আসলে বিহার সরকারের। কিন্তু সেগুলি বাংলায় এল কীভাবে, আর পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছিল কেন, সেটা জানতে তদন্ত চলছে।
নথি পুড়িয়ে ফেলা কাণ্ডে সিবিআই জমির মালিক রাকেশ রায়চৌধুরি নামে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতাকে তলব করেছে। কিন্তু তিনি দাবি করেছেন, এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। বরং তাঁর দাবি, প্রমাণ করতে পারলে তিনি ফাঁসিতে ঝুলবেন। সিবিআই সূত্রে খবর, যে নথিগুলো পোড়ানো হচ্ছিল সেগুলি বিহার সরকারের কৃষি ও মৎস্য দফতরের নথিপত্র। সেগুলি ২০০৮ এবং ২০১০ সালের। সেই সময় বিহারে নীতীশ কুমারের সরকার ছিল।
আরও পড়ুন ভাঙড়ে হইচই, পুড়ছে নথি! ছুটল সিবিআই
সরকারি অডিটের নথিপত্র নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। এই ঘটনার পিছনে কে বা কারা রয়েছেন, শুরু হয়েছে খোঁজখবর। তা বিহারের নথি ভাঙড়ে কীভাবে এল সেটাও ধন্দে রেখেছে সিবিআইকে। দুই স্থানীয় তৃণমূল নেতা রাকেশ রায়চৌধুরি এবং গৌতম মণ্ডলকে তলব করেছে সিবিআই। কিন্তু গৌতম কলকাতায় রয়েছেন বলে তিনি হাজিরা দিতে পারেননি। রাকেশের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেছেন গোয়েন্দারা।
সিবিআই সূত্রের খবর, যে জমিতে নথিপত্র পুড়ছিল তাঁর মালিক ছিলেন বিহারের বাসিন্দা রাজেশ সিং। তাঁর কাছ থেকে সেই জমি কেনেন প্রোমোটিং ব্যবসায়ী গৌতম মণ্ডল। পরে আবার তাঁর কাছ থেকে একাধিক ব্যক্তি সেই দমি কিনেছেন বলে সিবিআই সূত্রে খবর। এর পিছনে বিহার সরকারের কোনও দুর্নীতি রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।