চাঁদে চন্দ্রযান পাঠানোর কর্মযজ্ঞে সামিল বীরভূমের প্রত্যন্ত গ্রামের বিজয় কুমার দাই। ইসরোর গবেষনাগারে বসে 'চন্দ্রযান ৩'-এর সফল উৎক্ষেপনে অংশ নিয়েছেন মল্লারপুর থানার দক্ষিণগ্রামের দাই পাড়ার বিজয় কুমার দাই। তপশিলী দরিদ্র কৃষক পরিবারে জন্ম নেওয়া বিজয় দারিদ্রতাকে জয় করে চাঁদে চন্দ্রযান পাঠানোর বিরাট কর্মযজ্ঞে সামিল হয়েছেন। বিশ্বজোড়া খ্যাতির কর্মকাণ্ডে ছেলের অংশগ্রহনে গর্বিত বিজয়ের বাবা-মা ও তাঁর গ্রামের মানুষজন। 'চন্দ্রযান ২' ভারতবাসীর আশাপূরণ করেনি। কিন্তু 'চন্দ্রযান ৩' সফলভাবে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করবে বলেই আশা বিজয়ের অভিভাবকদের।
২০০০ সালে মল্লারপুর থানার দক্ষিণগ্রাম জগৎতারিণী বিদ্যায়তন থেকে ৮৯ শতাংশ নম্বর নিয়ে মাধ্যমিক পাশ করেন বিজয় কুমার দাই। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠ থেকে। তারপর কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাস করেন। তারপরেই চাকরি পেয়ে যান ইসরোতে। সেখানেই 'চন্দ্রযান ২' এবং 'চন্দ্রযান ৩' উৎক্ষেপনে অংশ গ্রহন করেন তিনি। বিজয় কুমার দাই এর এই সাফল্যে খুশী দক্ষিণগ্রামের মানুষজনও। খুশী দক্ষিণগ্রাম জগৎতারিণী বিদ্যায়তনের শিক্ষককেরাও।
বিজয়ের মা শ্যামলী দাই বলেন, “আমার তিন ছেলের মধ্যে বিজয় মেজো। বড় ছেলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। বড় ছেলের দেখানো পথেই মেজো ছেলে ইসরোতে পৌঁছেছে। বড় ছেলে সব সময় ভাইকে গাইড করত। খুব ভালো লাগছে।”
জগৎতারিণী বিদ্যায়তন স্কুলের প্রধান শিক্ষক উৎপল মণ্ডল বলেন, “আমরা গর্বিত। আমাদের স্কুলের একজন ছাত্র ইসরো বিজ্ঞানী হয়েছে এটা তো গর্বের বিষয়। আমরা ঠিক করেছি এবার বাড়ি ফিরলে স্কুলে অনুষ্ঠান করে তাকে সম্বর্ধিত করব। পাশাপাশি তাঁর মাধ্যমে বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহিত করব।”