উত্তরবঙ্গে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা। জলপাইগুড়ি-ময়নাগুড়ি স্টেশনের মাঝে ময়নাগুড়ি ওভারব্রিজের কাছে বেলাইন আপ ১৫৩৬৬ বিকানের এক্সপ্রেসের চারটে বগি। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বগিগুলি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। পাটনা থেকে গুয়াহাটি যাচ্ছিল এই ট্রেনটি। ৬ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে খবর। আরও প্রাণহানির আশঙ্কা। আহতদের জলপাইগুড়ি ও ময়নাগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
Advertisment
জানা গিয়েছে দুর্ঘটনার সময় ওই ট্রেনের গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ৪০ কিলোমিটার। রেল সূত্রে খবর, বিকানের এক্সপ্রেসের ১২টি কামরা ক্ষতিগ্রস্ত। তবে বেশি ক্ষতি হয়েছে ৭টি কামরার।
কী কারণে দুর্ঘটনা? রেস সূত্রে খবর, সিগন্যালিংয়ে কোনও সমস্যা ছিল না। হতে পারে ট্র্যাকের কারণেই এই ভয়াবহ ঘটেছে। গোটা দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন রেসমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। শুক্রবারই তিনি ময়নাগুড়িতে যাবেন। রেলের তরফে নিহতদের পরিবার ও আহতদের ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করা হয়েছে।
উদ্ধারকার্য চলছে। আহতদের জলপাইগুড়ি ও ময়নাগুড়ি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। এলাকায় অন্ধকার নেমে যাওয়ায় বিকল্প আলো দিয়ে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে বলে জানানা জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু।
ইতিমধ্যেই রেলের তরফে চালু করা হয়েছে হেল্পলাইন। নম্বর দু'টি হল- 03612731622, 23। মৃত ও আহত যাত্রীদের পরিবারের সন্ধান পেতে ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনাগ্রস্ত কামরাগুলির যাত্রীদের তালিকা তৈরির কাজও শুরু হয়েছে বলে রেল সূত্রে খবর। এনজেপি কন্ট্রোলরুমের নম্বর- 98002041951, 52।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কথা মতো, তাঁরা বিকট শব্দ শুনতে পান। যা শুনে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন তাঁরা। দেখেন গুয়াহাটি-বিকানির এক্সপ্রেসের কয়েকটি কামরা উল্টে গিয়েছে এবং ভেতরে আটকে রয়েছেন বহু যাত্রী।
জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক চলার সময়ই এই রেল দুর্ঘটনার খবর পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই গোটা পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজ খবর নিয়েছেন তিনি। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। খোঁজ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। উভয়ই এই দুর্ঘটনার জন্য শোকপ্রকাশ করেছেন।