Birbhum BJP Candidate's Nomination Cancelled: মনোনয়ন বাতিল হল বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী তথা প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিস ধরের। রাজ্য সরকারের তরফে 'নো ডিউজ' সার্টিফিকেট না দেওয়ায় বাতিল হল দেবাশিসের মনোনয়ন। তবে, দ্বিতীয় দফা ভোটের আগে হঠাৎ ওই আসনে বিজেপির দ্বিতীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন দেবতনু ভট্টাচার্য। শুক্রবার দেবাশিস ধরের প্রার্থী পদ বাতিল হওয়ায় বীরভূম লোকসভা আসনে বিজেপির প্রার্থী হচ্ছেন দেবতনুই।
লোকসভা ভোটের কয়েক সপ্তাহ আগেই পুলিশের চাকরি থেকে আচমকা ইস্তফা দিয়েছিলেন দেবাশিস ধর। তাঁর ইস্তফা গ্রহণ করেনি নবান্ন। এই পরিস্থিতিতেও বিজেপি তাঁকে প্রার্থী করে। ভোটের জন্য প্রচারও শুরু করে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শুক্রবার তাঁর মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়। সুপ্রিম কোর্টের ছাড়পত্র থাকার পরও কেন মনোনয়নপত্র বাতিল হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দেবাশিস ধর। বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। মনোনয়ন বাতিল নিয়ে তিনি কি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র দেখছেন? দেবাশিসবাবুর জবাব, 'সময়ই সব কিছু বলবে।'
দেবাশিস ধরের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের বিভাগীয় তদন্ত চলছে। পাশাপাশি তিনি ইস্তফা দিলেও নবান্ন থেকে এখনও তাকে রিলিজ দেয়নি। গত বিধানসভা ভোটে কোচবিহারে শীতলকুচি এলাকায় গুলি চলার সময়ে সেখানে পুলিশ সুপার ছিলেন দেবাশিস। তারপর তাঁকে সরিয়ে দেয় নবান্ন। কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে রাখা হয়েছিল তাঁকে।
এরকম কিছু হতে পারে বলে আগেই আশঙ্কা করেছিল বিজেপি। তাই বীরভূম কেন্দ্রে দেবাশিস ধরের বিকল্প প্রার্থী দেবতনুকে আগেই দিয়ে রেখেছিল পদ্ম বাহিনী।
দেবাশিসের মনোনয়ন বাতিল প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'মমতা ব্যানার্জী দলদাস প্রশাসনকে দিয়ে এইসব কাজ করিয়েছেন। সিএমও-তে কাজ করতেন শশাঙ্ক' বলে এক অফিসারকে দিয়ে করিয়েছেন। আমাদের প্রার্থী আদালতে যাচ্ছেন। দু'দিন আগেই মমতা ব্যানার্জীর ঘনিষ্ঠ বৃত্ত থেকে খবর দেওয়া হয়েছিল দেবাশিসেসন বিরুদ্ধে এই চক্রান্ত করছেন পিসি-ভাইপো। তাই আমরা দেবতনুকে মনোনয়ন জমা দিতে বলেছিলাম, যাতে তৃণমূল ফাঁকা মাঠ পেয়ে না যায়।'
এ দিকে গত ৪ এপ্রিল কোচবিহারের জনসভা থেকে নাম না নিয়ে দেবাশিস ধরকে নিশানা করেছিলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শীতলকুচির গুলিকাণ্ড নিয়ে সরাসরি আইপিএস দেবাশিসকে দায়ী করেছিলেন তিনি। মমতা বলেছিলেন, 'শীতলকুচিতে নির্বাচনের সময়ে লাইনে দাঁড়ানো পাঁচজনকে গুলি করে মেরেছিল। ভোট চলাকালীন এসেছিলাম ছুটে। যে লোকটির নির্দেশে হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে সরকারের দু'টি ডিপি চলছে। ভিজিল্যান্স ক্লিয়ার হয়নি। কিন্তু ভারতবর্ষের সরকার তাঁকে ক্লিয়ারেন্স দিয়ে দিয়েছে।'
তবে শীতলকুচি গুলিকাণ্ড নিয়ে যে বিতর্ক তাতে যে তাঁর ভূমিকা ছিল না এটা আগেই দাবি করেছিলেন দেবাশিস ধর।