গভীর রাতে বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল বীরভূম। মল্লারপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় বিস্ফোরণের তীব্রতায় উড়ে গিয়েছে ক্লাব ঘরের ছাদ, ছিটকে গিয়েছে লোহার শাটার। বিস্ফোরণের জেরে ক্লাবের পাশে একটি দোতলা বাড়ির জানলার কাচও ভেঙে পড়েছে এবং আরেকটি বাড়ির টিনের চালও উড়ে গিয়েছে মধ্যরাতে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে ক্লাবের ভিতরে থাকা ৭ ফুট উঁচু একটি আলমারিও রাস্তায় ছিটকে গিয়ে পড়েছে। তবে এ ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। কিন্তু, শান্ত এলাকায় কীভাবে ঘটল এমন বিস্ফোরণ, সে বিষয়ে ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ঝাড়গ্রামে কীর্তনের আসরে গুলিবিদ্ধ বিজেপি কর্মী
ঠিক কী ঘটেছিল?
সূত্রের খবর, শনিবার রাত দেড়টা নাগাদ মল্লারপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় বিস্ফোরণটি ঘটে। বিস্ফোরণের জেরে একটি ক্লাব ঘরের ছাদ উড়ে যায়। জানা যাচ্ছে, ওই ক্লাবে একটি জিম রয়েছে এবং নবোদয় বিদ্যালয় ও কোচিং সেন্টারও চলে সেখানে। ক্লাব কর্তৃপক্ষের দাবি, ‘‘বাইরে থেকে লোক এসে নাশকতার উদ্দেশ্যে এ ঘটনা ঘটিয়েছে"। তবে কে বা কারা এ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তা বলতে পারেনি ক্লাবের সদস্যরা। এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত কেশপুর, জখম প্রায় ৫০
উল্লেখ্য, কিছুদিন ধরেই তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতোরে উত্তপ্ত বীরভূমের মল্লারপুর। কয়েকদিন ধরেই এলাকায় বোমাবাজির খবর মিলেছিল। সেই প্রেক্ষাপটেই এদিনের বিস্ফোরণে এলাকায় নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। উল্লেখ্য, এবার বীরভূমে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল জয়ী হলেও, বেশ কয়েকটি বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলকে টেক্কা দিয়েছে বিজেপি। এরফলে রীতিমতো চিন্তায় রয়েছেন বীরভূমের প্রবল পরাক্রমশালী তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এছাড়া, লাভপুরের তৃণমূল বিধায়ক মনিরুল ইসলামও জার্সি বদল করে পদ্ম শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। ফলে, এদিনের ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক জমি দখলের চেষ্টাই দায়ি কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।