তোলাবাজি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বিবাদ: রামপুরহাটের মহকুমাশাসক বদলি

গত ১৬ নভেম্বর রামপুরহাট থানায় গিয়ে পুলিসের সাথে বচসার জেরে রামপুরহাট মহুকুমা শাসক শ্রুতিরঞ্জন মহান্তি তাঁকে নিগ্রহ করা হয়েছে বলে জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ করেন। সেদিনের ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়।

গত ১৬ নভেম্বর রামপুরহাট থানায় গিয়ে পুলিসের সাথে বচসার জেরে রামপুরহাট মহুকুমা শাসক শ্রুতিরঞ্জন মহান্তি তাঁকে নিগ্রহ করা হয়েছে বলে জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ করেন। সেদিনের ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

অ্যাডভান্টেজ পুলিশ

বীরভূমের রামপুরহাটের পুলিশ বনাম প্রশাসন যুদ্ধে আপাতত অ্যাডভান্টেজ পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে বিবাদের জেরে রামপুরহাটের মহকুমাশাসক শ্রুতিরঞ্জন মহান্তিকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। তাঁকে জনশিক্ষা প্রসার ও পাঠাগার দফতরের অফিসার অন স্পেশাল ডিউটিতে যোগ দিতে বলা হয়েছে। আইএএস অফিসাররা বলছেন, এ পদ দেওয়া মানে ‘গ্যারেজ’ করে দেওয়া।

Advertisment

publive-image শুক্রবারই চিঠি এসে গেছে

গত ১৬ নভেম্বর রামপুরহাট থানায় গিয়ে পুলিসের সাথে বচসার জেরে রামপুরহাট মহুকুমা শাসক শ্রুতিরঞ্জন মহান্তি তাঁকে নিগ্রহ করা হয়েছে বলে জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ করেন। সেদিনের ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। বিষয়টি নবান্নের নজরে আসার পর  এস ডি ও এবং এস ডি পি ও কে বিতর্ক থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।

Advertisment

আরও পড়ুন, পুলিশ-প্রশাসন সংঘাতে অশান্ত রামপুরহাট, বিব্রত রাজ্য সরকার

শ্রুতিরঞ্জন মহান্তি ১৬ নভেম্বরের ঘটনার কথা বিস্তারিতভাবে লিখিত আকারে জেলাশাসকেক জানানো ছাড়াও নবান্নে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান। ঘনিষ্ঠ মহলে জানান, ন্যায়বিচার না হলে চাকরি করবেন না। শুভানুধ্যায়ীরা তাঁকে বিরত করলেও মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত ওই আই এ এস অফিসার ঘটনার পর আর কাজে যোগ দেন নি। ব্যক্তিগত ফোনও বন্ধ করে রেখেছেন, ফলে এই নতুন দায়িত্ব বিষয়ে তাঁর মতামত জানা যায় নি।

ঘটনার সূত্রপাত পাথর খাদানে তোলাবাজির অভিযোগ নিয়ে। শ্রুতিরঞ্জন মহান্তি জানিয়েছিলেন, পাথর ক্র্যাশার মালিকরা তাঁর কাছে এ ব্যাপারে ডেপুটেশন দিয়েছিলেন। ডেপুটেশনে বলা হয়েছিল, অবাধে তোলাবাজি চলছে এবং পুলিশের ভূমিকাও রহস্যজনক। এরপর মহান্তি রামপুরহাট থানার আইতি এবং এলাকার এসডিপিও-র সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে যৌগাযাগ করার চেষ্টা করলেও সাড়া মেলেনি। এরপর ১৬ নভেম্বর বিকেলে তিনি রামপুরহাট থানায় যান। আইসি থানায় না-থাকায়, মহান্তি থানা পরিদর্শন করেছিলেন সেদিন। তাঁর দাবি, ১৯৪৩ সালের পুলিস রেগুলেশন অফ বেঙ্গলের ২২ এ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেটকে দেওয়া ক্ষমতা বলে তিনি এ কাজের অধিকারী।

এরপর আইসি থানায় পিরলে দু জনের মধ্যে বিবাদ বাধে,  যে ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত বীরভূমের জেলাশাসকের ফোনে বিষয়টির আপাত বিরতি ঘটে।

এরপরই নয়া নির্দেশ আসে মহকুমা শাসককে নতুন দায়িত্ব প্রদানের। বিষয়টি নিয়ে নেহাৎই বিব্রত জেলার আইএএস মহল।

police